Home সংবাদবর্তমান ঘটনা ‘নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে অস্ত্র ও টাকা পাচার করছেন শুভেন্দু’, অভিযোগ কুনালের

‘নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে অস্ত্র ও টাকা পাচার করছেন শুভেন্দু’, অভিযোগ কুনালের

‘নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে Suvendu Adhikari  অস্ত্র ও টাকা পাচার করছেন’, কাঁথিতে দাঁড়িয়ে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে ব্যুরো: ‘নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে Suvendu Adhikari  অস্ত্র ও টাকা পাচার করছেন’, কাঁথিতে দাঁড়িয়ে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। এদিকে বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট। নির্বাচনের আগে মাটি শক্ত করতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সবপক্ষই। এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের হট সিট নন্দীগ্রামে শেষ বিধানসভা ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমোকে হারিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে এই শুভেন্দুগড়েই এবার দলের জেলা ও ব্লক স্তরের মধ্যে সমন্বয়সাধনের দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তারপর থেকেই প্রায়ই পূর্ব মেদিনীপুরের নান প্রান্তে দেখা মিলছে কুণালের। এবার কাঁথি থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কুণালের এই বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

এদিন কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বামুনিয়াতে অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর আড়ালে ও কালো টাকা ও অস্ত্র নন্দীগ্রামে আনছে শুভেন্দু। ওর সেন্ট্রাল বাহিনীর কনভয় নাকা চেকিং করে আটকানো উচিত। আমাদেরও হোক। কিন্তু, শুভেন্দু কেন্দ্রীয় বাহিনীর কভারেজ নিয়ে ও এসব কাজ করছে। এসব কিন্তু হবে না। মানুষ বুঝছেন। মানুষ সতর্ক হচ্ছেন। ” যদিও এ বিষয়ে অধিকারী পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিজেপি কাঁথি জেলা সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। অঞ্চল প্রধান থেকে শুরু করে সব নেতার বাড়িতে কালো টাকা রয়েছে। ইডি সব জায়গায় সার্চ করছে। সেই আতঙ্কে তৃণমূল নেতারা ভুগছেন। তৃণমূলের সব নেতারা চোর এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আর সেই চোরেদের নেতা জেল খাটা আসামি সে আজকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছে। যাঁর কথার কোনও গুরুত্ব নেই।”

কয়েকদিন আগে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে সাউদখালি মনসাবাজার এসএসকে মাঠেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে কুণালকে বলতে শোনা গিয়েছিল “বিজেপিতে থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন ওঁরা। তখন নন্দীগ্রামে তৃণমূল চালাত শুভেন্দু। ওর চোখে নন্দীগ্রামকে দেখতেন মমতা ব্যানার্জি। ইডি-সিবিআই-র হাত থেকে বাঁচতে সে গিয়ে এখন বিজেপিতে জাঁকিয়ে বসে আছে।” যদিও পরবর্তীতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষকে ‘জেলখাটা’ ও ‘নরকের কীট’ বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “মেদিনীপুরের মাটিতে যত শুভেন্দু অধিকারীকে যত গালাগালি করবে বিজেপি তত বাড়বে। মনে রাখবেন ওদের মালিককে আমি হারিয়েছি।”

Related Articles

Leave a Comment