কলকাতা টুডে ব্যুরো:প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য। বৃহস্পতিবার আদালতের উল্লেখ পর্বে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। অনুমতি মেলার পরই মামলা দায়ের করছে রাজ্য। তাঁদের দাবি, কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাগুলির মত না শুনেই একতরফা সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গত সোমবার প্রাইমারি বোর্ডের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী এবং সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। সে দিনই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিচারপতি বলেছেন, তাঁরা যেন স্কুলে না ঢোকেন। টেট পাশ না করেও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ২৬৯ জনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনঃ ’তৃণমূল কংগ্রেসকে কলঙ্কিত করতে চক্রান্ত করছে বিজেপি,’বিস্ফোরক দাবি শওকত মোল্লার
প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে যে টেট হয়েছিল, সেই পরীক্ষা ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এই পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৭ সালে একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়। অভিযোগ, এই প্যানেলের এক বছর পর আবারও প্যানেল প্রকাশিত হয়। এই প্যানেল নিয়ে প্রাইমারি বোর্ডের দাবি, উত্তরপত্রে ১ নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কারণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন ভুল ছিল। অভিযোগ, এই ১ নম্বর পেয়েছেন ২৬৯ জন। আদালত জানতে চায়, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে কেন এই নম্বর দেওয়া হল? দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশেরই বা কারণ কী ছিল?