Uttarkashi Tunnel Rescue Operation : উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বার করে আনতে দেরি হচ্ছে। পেরিয়ে যাচ্ছে নির্ধারিত সময়। সুড়ঙ্গের ভিতরে বুধবার রাতেই ঢুকে পড়েছিলেন ২১ জন উদ্ধারকারী। তাঁরা সকলেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য। আশা ছিল, বুধবার রাতেই মিলবে সুখবর। বেরিয়ে আসবেন শ্রমিকেরা। কিন্তু ১২ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে গিয়ে ১০ মিটার বাকি থাকতে আবার থেমে যায় ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার কাজ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনা হবে। কিন্তু তা-ও করা যায়নি। এখনও কয়েক মিটার খোঁড়া বাকি আছে। কেন এতটা দেরী প্রশ্ন সকলের মনে।
আটকে পড়া শ্রমিকদেরকে রক্ষা করতে চলছে আপ্রাণ চেষ্টা।যন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তার ভিতরে পাইপ ঢোকানো হচ্ছে। পাইপের ভিতর দিয়েই উদ্ধারকারীরা গভীরে প্রবেশ করছেন। সেখান দিয়েই বার করে আনা হবে শ্রমিকদেরও। এই পাইপ ঢোকাতেই বার বার বাধা আসছে।
বুধবার রাতে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে খুঁড়তে আচমকা সামনে চলে আসে লোহার রড। খননযন্ত্র দিয়ে তা সরানো যায়নি। ফলে উদ্ধরকাজ বাধা পায়। রড কেটে রাস্তা ফাঁকা করতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানানো হয়। রডটি কাটতেই বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারীদের। এ ছাড়াও, এক বার কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। টানা খুঁড়তে খুঁড়তে যন্ত্র অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠেছিল। ফলে তা ঠান্ডা করার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অবশেষে লোহার রডটি কেটে সরানো গিয়েছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে উদ্ধারকারীদের দূরত্ব আর মাত্র ছ’মিটার। ফলে দ্রুত এ বার কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী সকলে।
গত ১২ দিন ধরে সুড়ঙ্গে আটকে আছেন ৪১ জন। পাইপের মাধ্যমে তাঁদের কাছে খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানো হচ্ছে। শ্রমিকদের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে । পাইপের মাধ্যমে পরিজনের সঙ্গে কথাও বলছেন তাঁরা।
সুড়ঙ্গের বাইরে উদ্ধারের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বুধবার রাত থেকেই সেখানে অপেক্ষা করছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স। সুড়ঙ্গ থেকে বার করার পর প্রয়োজন হলে শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনাস্থলেও অস্থায়ী স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে তৈরি আছে ৪১টি ‘বেড’। যে কোনও রকম জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত উদ্ধারকারীরা।