Home রাজনৈতিক বিধানসভায় রাজ্যপালের শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে টানটান উত্তেজনা, বিরোধীদের নিন্দায় মুখ্যমন্ত্রী

বিধানসভায় রাজ্যপালের শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে টানটান উত্তেজনা, বিরোধীদের নিন্দায় মুখ্যমন্ত্রী

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে ব্যুরো:সোমবার সকালে বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ পাঠের আগেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পদ্ম বিধায়করা। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পরে স্পিকারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল বিধায়করাও। তাঁরাও দিতে থাকেন পাল্টা স্লোগান। এরইমধ্যে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপালের বক্তব্য সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সেটাই টেবিল করা হবে বলে জানান স্পিকার। তখনই রাজ্যপাল মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই বলেন, তিনি হতবাক হচ্ছেন। তিনি না বললে কীভাবে তাঁর ভাষণ টেবিল হতে পারে? প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বক্তব্য, তিনি যতক্ষণ না বলছেন,. ততক্ষণ তাঁর বক্তব্য টেবিল করা যায় না। স্পিকার সেটি কীভাবে করতে পারলেন? রাজ্যপালের এ বক্তব্যের মাঝেই বিজেপি ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। টানা এক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে বিধানসভায়।

টানা ১ ঘণ্টার অচলাবস্থার পর বিধানসভায় ভাষণপাঠ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর পর বিধানসভা ছাড়েন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বিধানসভা ছাড়তেই বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিজেপির সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী এদিনের অচলাবস্থায় রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়া রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সোমবার বেলা ২টোয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরুর কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যপাল পৌঁছতেই ব্যানার প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। টানা একঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন রাজ্যপাল। এর পর একাধিকবার বিধানসভাকক্ষ ত্যাগ করতে উদ্যত হন তিনি। কিন্তু বারবারই করজোড়ে তাঁকে বিরত করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মাঝে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন রাজ্যপাল। কিন্তু কাজ হয়নি। প্রায় ১ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়ে তা পঠিত বলে ধরে নিতে অনুরোধ করেন ধনখড়। এর পর বিধানসভাকক্ষ ত্যাগ করেন তিনি। রাজ্যপাকে এগিয়ে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন ঃ 

রাজ্যপালের গাড়ি বিধানসভা চত্বর থেকে বেরোতেই মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, এই ঘটনা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। বিধানসভার অন্দরে বিরোধীরা এর আগেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কিন্তু তার পরও রাজ্যপাল ভাষণপাঠ করেছেন। এই বিরোধিতা মেনে নেওয়া যায় না। নিজের ওয়ার্ডে যারা জিততে পারে না তাদের এসব মানায় না।

Related Articles