বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে,
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধী সহ বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতার জন্য আরোগ্য কামনা করেন।
এমন কি প্রধান মন্ত্রী নিজেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য বার্তার শুভেচ্ছা জানিয়ে, বলেছেন I” আমি প্রার্থনা করছি মুখ্যমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন’’ ।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সকলেই আহত তৃণমূল নেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে তাঁর বাসভবনে আহত হন, মাথায় ও নাকে গুরুতর আঘাত পান। সন্ধ্যায় তাকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় এবং তার মাথায় চারটি সেলাই এবং একটি নাকে রক্তপাত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর সামান্য মাথা ঘোরা অনুভব করলে মুখ্যমন্ত্রী পড়ে যান।আপাতত কালীঘাটের বাড়িতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখবেন চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের দাবি ‘পিছন থেকে ধাক্কা’ মন্তব্য নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে পড়ে গিয়ে কপালে এবং নাকে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সন্ধ্যায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলে রক্ত ঝরা বন্ধ হয় মোট চারটি সেলাইয়ের পরে। কপালে তিনটি এবং নাকে একটি সেলাই পড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, হাসপাতালে আসার পরে চিকিৎসকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পিছন থেকে ঠেলা অনুভব করার পরে তিনি পড়ে যান। কপালে গভীর ক্ষত তৈরি হয়।’’সূত্রে খবর, শক্ত কিছুতে আঘাত লেগে মমতার কপালে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। আঘাতে নাকের উপরের অংশ থেকেও রক্তপাত হয়। এসএসকেএমের চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে রাখার পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীই বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে আপাতত পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থা ফের পরীক্ষা করা হবে।