নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও এক প্রত্যাবর্তন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার ২ জানুয়ারি দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। পাঁচ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। আরও এক কামব্যাক ঘটিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন সৌরভ।
https://youtu.be/wRhIuQpsYoc
এদিন হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরেই বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সৌরভ। সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মহারাজ। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় সৌরভ বললেন, ‘আমাকে এত যত্ন করার জন্য এখানকার সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ওঁদের জন্য জীবন ফিরে পেলাম। আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দিতে পারব।’ অগণিত ভক্ত, শুভানুধ্যায়ীরা সাতসকাল থেকে হাসপাতাল ও সৌরভের বেহালার বাড়ির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন। ভক্তদের উদ্দেশে হাত নেড়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ির পথে রওনা দেন মহারাজ। বীরেন রায় রোডের বাড়ির সামনে পুলিশ পোস্টিং করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সৌরভ-অনুরাগীরা ফুল, মিষ্টি, চকোলেট নিয়ে প্রিয় দাদার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সৌরভের বাড়ির সামনে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি পুলিশ। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে সৌরভ বাড়িতে প্রবেশ করেন। বাড়ি ফিরেও সেখানে অপেক্ষারত গুণমুগ্ধ, সংবাদমাধ্যমকে আরও একবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি ভাল আছি। জীবনে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। সবাইকে ধন্যবাদ।’
উডল্যান্ডস হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত আগামী দু’ সপ্তাহ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। দেশের অন্যতম সেরা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি বুধবার কলকাতায় এসে তাঁকে দেখে গিয়েছিলেন। উডল্যান্ডস হাসপাতালে মহারাজের চিকিৎসার পদ্ধতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন দেবী শেঠি। এদিন সৌরভের সঙ্গেই বাড়িতে আসেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সপ্তর্ষি বসু। সঙ্গে দুজন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। আপাতত বাড়িতেই মিনি হাসপাতালের পরিবেশে চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে চলতে হবে সৌরভকে।
বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ছাড়ার আগে ফের একবার সৌরভের মেডিক্যাল চেক-আপ করানো হয়। চিকিৎসকরা জানান, মহারাজ সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। আজ সকালেও স্বাভাবিক ব্রেকফাস্ট সারেন ‘দাদা’। মহারাজকে হাসপাতাল থেকে আনতে এদিন সকালেই পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, দাদা স্নেহাশিস ও ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু।