নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মন্ত্রীত্ব ও হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ৭২ ঘণ্টা পর প্রকাশ্যে এসে বৃহস্পতিবার ডুমুরজলায় নিজের ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
ঠিক কী ঘটছিল যে মন্ত্রীত্ব ও জেলা সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে হল? ইস্তফার কারণ সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন লক্ষ্মী। সাফ বললেন, ‘সব কথা প্রকাশ্যে বলতে নেই। তাই বলছি না। কিছু কারণ নিজের মধ্যে রাখতে হয়। রাজনীতি থেকে আপাতত সরছি। কোথাও যোগদানের প্রশ্ন নেই। রাজনীতি ছাড়াও জনগণের সেবা করা যায়। আমি ময়দান ছেড়ে পালাচ্ছি না। তবে হিংসা-প্রতিহিংসার রাজনীতিকে সমর্থন করি না। আমি খেলার মাঠের লোক। এখানে বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করব।’
তবে বৃহস্পতিবার সকালে সৌরভকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি ফেসবুক পোস্ট করেন লক্ষ্মী। সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, ‘সৌরভের সঙ্গে এক সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি। বহু ম্যাচ একসঙ্গে খেলেছি, সৌরভ খুব বড় নেতা। প্রকৃত নেতারা শুধু খেলেন না। খেলার সুযোগও করে দেন।’ এদিন ফেসবুকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর নিজের খেলার মাঠের একটি অঙ্কন-চিত্র পোস্ট করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য লক্ষ্মীর। সরাসরি কিছু না বলে লক্ষ্মী তাঁর এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ঘুরিয়ে কি তাঁর ছেড়ে যাওয়া দলকেই বার্তা দিতে চাইলেন? তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা।
এদিকে লক্ষ্মীর এই টুইট প্রসঙ্গে মন্তব্য করে জল্পনা বাড়ালেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। বললেন, ‘সৌরভ গাঙ্গুলি সুস্থ হয়ে গেলে লক্ষ্মী ও সৌরভ একসঙ্গে নেট প্র্যাকটিস করবে। লক্ষ্মী এতদিন তৃণমূলের হয়ে বোলিং করেছে। ভবিষ্যতে যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোলিং করবে না, সেটা কে বলতে পারে।’