কলকাতা টুডে ব্যুরো:ভবানীপুরে প্রৌঢ এবং প্রৌঢ়াকে খুনের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য নিশানা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ। তিনি বলেন, ভাইপোর বাড়ির কাছেই এই ঘটনা হয়েছে। ভাইপোর বাড়িতে ১০০ পুলিশ থাকে। পিসির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে ৫০ পুলিশ। তাও এরকম ঘটনা। বহিরাগত বলে কি বাঁচার অধিকার নেই? এতোদিন বিজেপির লোককে মারা হত। এখন পাবলিক মারা হচ্ছে। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।
মঙ্গলবারই গ্রেফতার হয়েছে রোদ্দুর রায়। তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। তা নিয়ে এদিন মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, তৃণমূল যে রকম কটু কথা ব্যবহার করে, এটা ওদেরই কালচার। বাম জমানায় এমন কিছু হলে বুদ্ধিজীবীরা তাও প্রতিবাদ করতেন। এখনকার বুদ্ধিজীবীদের সেই মেরুদণ্ড নেই। রোদ্দুর রায়ের ভিডিও দেখে নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে মানুষ লজ্জা পাবেন।
তৃণমূলকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ বলেন, গত পঞ্চায়েতে বিজেপিকে ৩৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। এবার মনে হয় সেটা বেড়ে ৫০ শতাংশ করে দেওয়া হবে। পুলিশ বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। আলিপুর দুয়ারের সভায় একটা বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ল। মমতা ছবি তুললেন। জল খাওয়ালেন। ১১ বছরের কিশোরী পলিটিক্যাল মিটিংয়ে এলো কেন? তার মানে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। সবুজ সাথী সাইকেল পেয়েছে বলে তাকেও আসতে হবে? মরুক বাঁচুক সবাইকে আসতে হবে? মা পরিবার বাচ্চা, সবাইকে আসতে হচ্ছে। কারণ সবুজ সাথী বা লক্ষীর ভাণ্ডার পেয়েছে। জল খাইয়ে সিমপ্যাথি তৈরি করছেন। এটা নাটকবাজি। মঙ্গলবার রাতে রাজ্যে পা রেখেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি।