কলকাতা টুডে ব্যুরো:অশনি ঝড় ইতিমধ্যেই অশনি সংকেত দিচ্ছে। রাজ্যকে সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি পর্ব ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে।নিয়ে প্রত্যেকটা মুহূর্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজরদারি চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই নবান্নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
উপকূলবর্তী এলাকায় ফ্লাড সেন্টারগুলো প্রস্তুতিপর্ব প্রায় শেষ করে ফেলা হয়েছে। শুকনো খাবার, ওষুধপত্র, পানীয় জল, ত্রিপল, মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিভিন্ন দপ্তরে দ্রুত কাজ করার জন্য ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়ে গেছে। ওই বৈঠকে কি ধরনের কাজ করা হবে ম্যাপিং ও করা হয়েছে। সেই ম্যাপ অনুযায়ী সাধারণ মানুষকে অবগত করার জন্য ঝড় সম্পর্কে পঞ্চায়েত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ব্লক স্তর থেকে মাইকিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
18 থেকে 25 ফ্লাড সেন্টার প্রস্তুতিপর্ব সেড়ে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে ঠিক সময়ে ওই সেন্টারগুলোতে সরিয়ে ফেলা হবে। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সমুদ্রে আসতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এ কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এক নজরে দেখা যাক কি পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার
বিপর্যয় প্রবন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে রাজ্যের তেরোটি জেলাকে ।
জেলা গুলি হল পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, নদীয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং সহ অন্যান্য।
বিপর্যয় প্রবণ জেলাগুলিতে করা হয়েছে আগাম অর্থ বরাদ্দ।
খাদ্য সংস্থানে জেলা প্রশাসনের কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য উদ্যোগী রাজ্য।
বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আওতায় রয়েছে প্রায় ৪৯৩ টি মাল্টিপারপাস গোডাউন।
আরও পড়ুনঃ দাউদ সঙ্গীদের সন্ধানে মুম্বাই তোলপাড় করছে NIA
গোডাউনে ত্রাণ সামগ্রী যথেষ্ট পরিমাণে মজুত করে রাখার উপর দেওয়া হয়েছে অগ্রাধিকার।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে শতাধিক ফ্লাড সেন্টার সহ নিরাপদ আশ্রয় স্থল।
উপকূলবর্তী জেলাগুলির মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে করা হয়েছে সতর্ক।
যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য এই বিশেষ ভাবে এই সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।