কলকাতা টুঢে ব্যুরো: আজ থেকে এক বছর আগে মানুষ অপেক্ষা করছিল ভ্যাক্সিনের জন্য। তখন প্রধানমন্ত্রী থালা বাজিয়ে, আলো নিভিয়ে বিপথে পরিচালিত করছিল বলা হয়। সেই মোদী দেখিয়ে দিল ১৩৫ কোটির দেশে অধিকাংশ ভ্যাঙ্কিন করা যায়। দূর্বল দেশকে কীভাবে সাহায্য করা যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।তিনি বলেন,” সরকার রক্ষামাত্রা অধিকাংশ সফল হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের অসহযোগিতা থাকা সত্ত্বেও। তৃনমুল যেভাবে মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন,তাতে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে সংক্রমণকে বাড়িয়ে দেওয়া হল। প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন,সেখানে সমলোচনার জন্য সমলোচনা করছে। কয়েকদিন আগে ডায়মন্ড মডেল তৈরি হল,একের পর একজন সমর্থন করল। কর্তৃপক্ষ কোন অবস্থায় দাড়িয়ে? উত্তরবঙ্গে কোনও ব্যবস্থা নেই। কোভিট বেডের কথা বাড়ানোর পর আসল তথ্য কী? সরকার খেলা,মেলা,ভিড় করে তৃতীয় ঢেউকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই স্ববিরোধিতার রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। ”
আরও পড়ুনঃপশ্চিমী ঝঞ্জার দাপটে পৌষের শেষেও মুখ ঢেকেছে শীত
অভিষেক-,কল্যাণ- তর্জা নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বললেন,”অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেন,এমন দ্বব বানী বলেছেন,তারপর দেখলাম কল্যাণ ব্যানার্জি সমলোচনা করলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন ছাড়া এমন বক্তব্য হতে পারে না। আসলে জলন্ত সমস্যা থেকে সৃষ্টি ঘোরাতে এটা করেছে। এটা কল্যাণ ব্যানার্জি স্বাধীর মতামতা নয়। দুটো পাওয়ার স্টেন্ডার তারা কীভাবে চালাবেন সেটা তাদের বিষয়।”
আরও পড়ুনঃ সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো বাতিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা
গোলাম রব্বানীর শিল্প টুইট প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য,”
সংখ্যা লঘু মন্ত্রী টুইট করে বিনিয়োগ জন্য থাকছেন। রাজ্য একের পর এক সম্মেলন করেছেন,শিল্পবান্ধব ছবি তৈরি করতে। এখন জমি অধিগ্রহণ সমস্যা বন্ধ করতে পারেনি। এরাজ্যের শিল্পপতিরা পুজি অন্য রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছে। শিল্পমন্ত্রী অন্য দল ভাঙাতে ব্যস্ত তাই অন্য মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছে। এই সরকার ভয়ঙ্কর দিকে নিয়ে যাে।
আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলের থেকে আলাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,’ কটাক্ষ দিলীপের
প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাবলো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বললেন,”মুখ্যমন্ত্রী যখন চিঠি দিয়েছেন, বলার কিছু থাকে না। এটা প্রশাসনিক ।”
আরও পড়ুনঃ রঙ্গিন মদন !স্বমহিমায় বলে গেলেন মনের কথা, উঠল বিতর্কের ঝড়- দেখে নিন সেই ভিডিও
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ও শান্তনুর বাড়ি বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”আমাদের দলে বিক্ষুব্ধ নেই। দিলীপ ঘোষ যখন বলেছেন তখন নতুন করে বলার কিছু থাকে না। শান্তনু ঠাকুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সে কেউ যদি যায় বলার কী আছে,আমরা মতুয়া ও সবাইকে সংঘবদ্ধ করে চলছো। আমরা সিএএ কার্যকর করতে চাই। ২০২৪ এর আগে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুনঃফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মদন মিত্র
মদন উবাচ প্রসঙ্গে তার মন্তব্য,”দুজনেই বন্ধু। একজন হেভিওয়েট মন্ত্রী একজন কালারফুল নেতা। এখানে আমাদের বলার কী আছে। “ভ্যাক্সিন নিয়ে তৃনমুল সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বললেন,”সরকার একবারও বলেনি সমস্যা সমাধান করেছে। রাজ্য যদি সাহায্য না করে,শুধু ডায়মন্ড হারবার চেয়েছে বলে ৫৩ হাজার পরীক্ষা একদিনে করিয়ে দিল,আর বাকি ৪১টা কেন্দ্র কী হল? রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার অভাব আছে।
বিক্ষুব্ধ বৈঠক বলে অমিতাভ চক্রবর্তীকে তোপ দাগলেন তিনি।তিনি বলেন,”সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা চাই না। সংগঠন একা কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না। রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কথা বলে সমাধাান করে। এমন হলে অনভিপ্রেত, নিশ্চয় এই বিষয় শীর্ষ নেতৃত্ব আগামীদিনে সমস্যা করবেন। এটা একটা রাজনৈতিক সমস্যা। যারা বক্তব্য বলেছে পার্টি বিরোধী নয়। কিছু বিচ্যুতি আছে। মঞ্চের কোনও তথ্য নেই। এমন কোনও সম্ভবনা নেই। অমিতাভ চক্রবর্তী কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না।”
Topics
Samik Bhattcharya BJP TMC Administration Kolkata