মুম্বই, ১৬ ফেব্রুয়ারি: অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বই মাড আইল্যান্ডের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। মঙ্গলবার সকালে তিনি প্রাতরাশ সারেন মিঠুনের পরিবারের সঙ্গেই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির তুমুল ভাঙাগড়ার মধ্যে আরবসাগরের তীরে এই সাক্ষাৎকারে জল্পনা ছড়িয়েছে সুদূর বাংলায়। তবে কি এখান থেকেও কোনও নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা? মিঠুনের সমর্থন চাইছে সংঘ পরিবার?
এমন জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন একদা বলিউডের এই বাঙালি সুপারস্টার। মিঠুনের বক্তব্য, কোনও রাজনৈতিক বোঝাপড়া নয়, এই সাক্ষাৎ নিতান্তই সৌজন্যের, সৌহার্দ্যের। মিঠুনের কথায়, ‘আমার সঙ্গে ওঁর আধ্যাত্মিক সম্পর্ক। আগেই কথা হয়েছিল এখানে এলে বাড়ি আসবেন।’ কিন্তু এই সময়েই দেখা হওয়া, বসন্তপঞ্চমীর সকালটা এক সঙ্গে কাটানো ,এটা কি নিছকই কাকতালীয়? মিঠুন বললেন, ‘আমি লখনউ থেকে শুটিং করে ফিরলাম। উনি মুম্বইতেই ছিলেন। আমার সঙ্গে দেখা করলেন। প্রাতরাশ সারেন। আমাকে সপরিবারে নাগপুরে যেতেও বলেন।’
একদা তৃণমূলের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল মিঠুনের। বিশেষত তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সম্পর্কটা ছিল ভাই বোনের। শাসকদলের হয়ে মাঠে নেমেছেন মিঠুন। পেয়েছেন রাজ্যসভার টিকিট। ২০১৬ সালের পরে রাজনীতির ময়দান ত্যাগ করেন মিঠুন।
ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণেই তিনি আর রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হতে পারেন না বলেই ঘনিষ্ঠমহলে বলে থাকেন বলে শোনা যায়। তবে এর বিরুদ্ধ মতও আছে। সারদা চিটফান্ড মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়া নিয়েও বিরক্ত, বীতশ্রদ্ধ মিঠুন রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতাদের থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অনেকের ধারণা।