কলকাতা টুডে ব্যুরো: ‘কাউকে পদের লোভ, কাউকে রাজ্যসভার লোক দেখিয়ে ওই দলে নিয়ে আসা হয়েছিল। বাকিরা আগেই চলে গিয়েছিলেন, এবার যে ট্রাম কার্ড ছিলেন তিনিই চলে গেলেন। ওখানে ওদের দল ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেনি। তার আগে এখান থেকে স্টারদের নিয়ে যাচ্ছে প্রচার করতে। এখন ওদের গান করে চালাতে হবে। যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে…! মহিলাদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও মহিলারা কিন্তু আসছেন না।’ গোয়ার প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করে বলেন,”রাজ্যে পুলিশ প্রশাসন বলে কিছু নেই। অপরাধীরা এখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এখানে সরকার বলে কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খামখেয়ালিপনাতে বাংলা আজ ডুবতে বসেছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে আন্দোলন করবে। কিন্তু ফল কিছু হয় না। কারণ তাদের কেস দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। মানুষকে বারবার আদালতে যেতে হচ্ছে। এই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।”
আরও পড়ুনঃ ফের রাজ্যের মুখ্য সচিবকে তলব করলেন রাজ্যপাল
এদিন বিধানগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চলাকালীন তাঁকে বাধা দেয় পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ।
আগামি ১২ ফেব্রুয়ারি পুরভোট বিধান্নগরে। তাঁর আগেই জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে সব শিবির। আর সেই প্রচারেই উত্তেজনার খবর পাওয়া গেল ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোভিডবিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। পুলিস জানিয়েছে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে প্রচারের সময়ে পাঁচ জনের বেশি লোক ছিলেন।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তরগত জগৎপুর বাজারে প্রচারের সময়ে দিলীপ ঘোষকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দিলীপ ঘোষ বলেন যে “আমি বুঝতে পারছিনা। আমি বাজারে এসেছি মানুষের সঙ্গে দেখা করতে কিন্তু পুলিস আমায় আটকাচ্ছে। প্রচার যদি করতে না দেন তাহলে নির্বাচন করছেন কেন?” এরপরেই প্রচার অসমাপ্ত রেখে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান তিনি।
Topics
Dilip Ghosh BJP TMC Administration Kolkata