Home রাজনৈতিক রাজনীতি থেকে আপাতত সরে দাঁড়ালাম, ইস্তফার পর প্রথম মুখ খুললেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা

রাজনীতি থেকে আপাতত সরে দাঁড়ালাম, ইস্তফার পর প্রথম মুখ খুললেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা

by Kolkata Today

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। নিজেও গত কয়েকদিন অন্তরালে ছিলেন। অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশ্যে এসে মুখ খুললেন সদ্য রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানো লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সেখানে আপাতত রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা বলেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মী। সদ্য রাজ্য সরকারের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়া বঙ্গ ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘এখনও আমি বিধায়ক পদ ছাড়িনি, রাস্তায় বেরব। ক্রীড়াবিদ হিসেবেই আমার সবথেকে বড় পরিচয়। ক্রীড়া ক্ষেত্রে কাজ করে যাব। বিধায়ক পদের মেয়াদ পূর্ণ করব। ক্রীড়াবিদ হিসেবেই আমার সবথেকে বড় পরিচয়। ক্রীড়া ক্ষেত্রে কাজ করে যাব।’

তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক থাকবে বলেই জানিয়ছেন ভারতের হয়ে তিনটি ওয়ানডে খেলা প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। এমনকি বিরোধী দলের নেতাদের উপরেও কোনও ক্ষোভ নেই বলে জানান তিনি। তবে রাজ্যে আমরা কেউ হিংসা দেখতে পছন্দ করি না বলেই মনে করেন লক্ষ্মী। লক্ষ্মীর মতে, সমাজে বিভেদ কখনই কাম্য নয়। হিংসা থেকে সকলকে দূরে থাকার বার্তা দেন বিধায়ক। বিজেপি কিংবা বিরোধীদের উপর কোনও ক্ষোভ রয়েছে কিনা সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে লক্ষ্মী বলেন, ক্রীড়াবিদ হিসেবে সব রাজনৈতিক দলকে সম্মান জানাই।

তবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে লক্ষ্মী বলেন, রাজনীতি থেকে আপাতত সরছি। কোথাও যোগদানের প্রশ্ন নেই। তবে কারোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে সব কথা প্রকাশ্যে বলতে চাই না বলেই মন্তব্য করেন রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রী। লক্ষ্মী মনে করেন, রাজনীতি ছাড়াও জনগণের সেবা করা যায়। আমি ময়দান ছেড়ে পালাচ্ছি না। তবে হিংসা-প্রতিহিংসার রাজনীতিকে সমর্থন করি না।

তবে বৃহস্পতিবার সকালে সৌরভকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি ফেসবুক পোস্ট করেন লক্ষ্মী। সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, ‘সৌরভের সঙ্গে এক সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি। বহু ম্যাচ একসঙ্গে খেলেছি, সৌরভ খুব বড় নেতা। প্রকৃত নেতারা শুধু খেলেন না। খেলার সুযোগও করে দেন।’ এদিন ফেসবুকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর নিজের খেলার মাঠের একটি অঙ্কন-চিত্র পোস্ট করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য লক্ষ্মীর। সরাসরি কিছু না বলে লক্ষ্মী তাঁর এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ঘুরিয়ে কি তাঁর ছেড়ে যাওয়া দলকেই বার্তা দিতে চাইলেন? তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা।

Related Articles

Leave a Comment