Home রাজনৈতিক লক্ষ্মীকে হারিয়ে হাওড়ারই মনোজকে পেল তৃণমূল, ঘাসফুলে ফুটবলারও

লক্ষ্মীকে হারিয়ে হাওড়ারই মনোজকে পেল তৃণমূল, ঘাসফুলে ফুটবলারও

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে ব্যুরো: তৃণমূলে তারকা-যোগ চলছেই। ফের একবার বাংলার শাসক দলে যোগ দিলেন একঝাঁক তারকা। তবে এবার খেলার মাঠ থেকে সেলুলয়েড, দুই জায়গার তারকারা এবার ঘাসফুলে যোগ দিলেন। মঙ্গলবারই খবর ছিল, লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে হারানোর পর তৃণমূল ফের এক তারকা ক্রিকেটারকে দলে নিতে চলেছে। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারিকে দলে নিয়ে বড় চমক দিতে চলেছে তৃণমূল। মনোজের ঘনিষ্ঠ সূত্রে নিশ্চিত খবর ছিল। বুধবার বেলার দিকে মনোজের টুইট সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিল। এখনও পেশাদার ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া মনোজ তিওয়ারি বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডানলপের সাহাগঞ্জের সভায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন।

মনোজের সঙ্গে এদিন ঘাসফুলে নাম লেখালেন আর এক খেলোয়াড়। তবে তিনি ক্রিকেটার নন, ফুটবলার। তিনি ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার উত্তরপাড়ার সৌমিক দে। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের ব্যাপারটা অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। দলত্যাগী তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সৌমিক দে-র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা জোরালো। সৌমিক, মনোজ ছাড়া এদিন মমতার মঞ্চে যাঁরা ঘাসফুলে নাম লেখালেন, তাঁদের প্রায় সবাই টলি তারকা। ব্যতিক্রম শুধু শিক্ষাবিদ অনন্যা চক্রবর্তী।

টলিউডের একঝাঁক তারকা রাজ চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, কাঞ্চন মল্লিক, সুদেষ্ণা রায়, মানালী দে, জুন মালিয়া, মাধবী মুখোপাধ্যায়ও এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিদের বিরুদ্ধে শতরানের পর, আইপিএল ট্রফি জেতার পর যে আবেগ, ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তাতে কোনও হিন্দু-মুসলিম ছিল না। সারা দেশে বিভেদের রাজনীতি করছে বিজেপি সরকার। তৃণমূলের লোগো বোঝায় আমরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু-মুসলমান। ঘাসফুলে আমি সেই কারণেই। মমতা ব্যানার্জি বাংলার অগ্নিকন্যা।’ জুন মালিয়া বলেন, ‘খেলা হবে তো? দিদির সঙ্গে থাকবেন তো? আমি দিদির সঙ্গে আছি। ২০১১ সাল থেকে আছি। আজীবনকাল থাকব। বাংলার মাটি, বাংলার মানুষ দিদিকে চায়। খেলা হবে। জোর দিয়ে খেলা হবে। সবাই দিদির পাশে থাকবেন। দিদির হাত শক্ত করতেই হবে।’

অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, ‘এত কম বয়সে সুযোগ দেওয়ার জন্য দিদিকে ধন্যবাদ। আগামীদিনে বাংলার মা, বোনেদের সুরক্ষা দেখে রাখব। বাংলার সম্প্রীতি বজায় রাখব। আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়েই আগামীতে আমরা সত্য, শিব, সুন্দর পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করব।’ মানালি দে বলেন, ‘আমি যেদিন মাকে হারিয়েছিলাম, সেদিন এই মানুষটা আমার পাশে ছিল। অরূপদা পাশে ছিল। আমি সাতেও থাকি, পাঁচেও থাকি। এবার ফর্ম্যালি যোগ দিলাম।’

Related Articles

Leave a Comment