নয়াদিল্লি, ৩০ জানুয়ারি: এতদিনের জল্পনা ও শনিবার গোটা দিনের ঘটনাপ্রবাহের শেষ হল রাত ৯টায়। বিজেপিতে যোগ দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের ৫ জন। শনিবার দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়িতে বৈঠকের পরে উত্তরীয় পরিয়ে বিজেপি-তে স্বাগত জানানো হয় রাজীব ছাড়াও তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়াকে। এ ছাড়াও ছিলেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, রানাঘাট পুরসভার পদত্যাগী প্রশাসক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ও। যোগ দিলেন একদা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও।
অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, রবিবার ডুমুরজলার সভায় আরও অনেকে যোগ দেবেন। বলেছেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে নতুন যাত্রা শুরু হল। কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদে বাংলায় উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে অমিত শাহজির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাংলার জন্য মিলবে বিশেষ প্যাকেজ। আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ রাজীব আরও বলেছেন, ‘অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলাম। এ বার বিজেপির হয়ে পাখির চোখ বাংলা।’
অমিত শাহর বঙ্গ সফরেই এঁদের বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় শনিবার বিকেলে রাজীব, প্রবীর, বৈশালীদের চার্টার্ড বিমানে করে দিল্লি নিয়ে যায় বিজেপি। সেই বিমানে ছিলেন রথীন, পার্থসারথিও। সেই সঙ্গে ছিলেন দুই বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। এঁদের জন্য চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা হলেও শেষ বেলায় দিল্লি যেতে চাওয়া রুদ্রনীলকে আলাদা করে বাণিজ্যিক বিমানে নিয়ে যাওয়া হয়। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে সোজা কৃষ্ণমেনন মার্গে অমিতের বাড়িতে চলে যান রাজীবরা। সেখানে প্রবীর ঘোষালকে অমিতের পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেও দেখা যায়। অমিতের সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবিও তোলেন তাঁরা। তবে সেই ছবিতে ছিলেন না রুদ্রনীল। পরে জানা যায় দেরিতে পৌঁছন অভিনেতা।
শনিবার অমিতের বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাজীব বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প রাজ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলায় বিজেপি সরকার দরকার। এ নিয়ে অমিতজির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’’ একই সঙ্গে রাজীব জানান, রবিবার তাঁরা সকলেই ডুমুরজলার সমাবেশে থাকবেন। তবে তাঁরা আর নতুন করে বিজেপি-তে যোগ দেবেন না। ডুমুরজলায় অনেক বড় সংখ্যায় তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগদান হবে বলেও দাবি করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।