Home জীবনধারাস্বাস্থ্য আমরা করোনার তৃতীয় ঢেউ-এর মধ্যেই রয়েছি, জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা

আমরা করোনার তৃতীয় ঢেউ-এর মধ্যেই রয়েছি, জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে ব্যুরো: করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে এসেছে। জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতায় পজিটিভিটি রেট এখন ৩৭ শতাংশের বেশি। হাওড়ায় পজিটিভটির হার ২২.০৩ শতাংশ । উত্তর ২৪ পরগণায় এই হার ১০.৬৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন : ‘মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসুচি দুয়ারে সরকারের নামে দুয়ারের সংকট, সন্ত্রাস ও সর্বনাশের পরিকল্পনা করছিল,’ সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ

চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার, অভিজিৎ চৌধুরী, অতিমারি বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায় এবং চিকিৎসক কুণাল সরকারদের পরামর্শ তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার একমাত্র উপায় জমায়েত বন্ধ করা। একইসঙ্গে  বাড়ির বাইরে বার হলে মাস্ক পরাটা সুনিশ্চিত করা। একমাত্র তাতে করেই এই ঢেউ আটকানো সম্ভব। তবে  তার পরেও আশঙ্কার কথা রয়েছে। আজ অর্থাৎ, মঙ্গলবার থেকে আগামী ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা ক্ষতিকর এবং সংক্রামক তার একটা ছবি পরিষ্কার হবে চিকিৎসকদের কাছে।

আরও পড়ুন : বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার, নির্দেশ নবান্নর

মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিকিত্সক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন,”  সবাই প্রশ্ন করছে তৃতীয় ঢেউ এসেছে কিনা, আসবে কিনা, কী অবস্থায় রয়েছে। এনিয়ে স্পষ্ট বলে দেওয়া যায়, আমার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছি। এনিয়ে কোনও দ্বিধা নেই। আগের ওয়েভগুলোর সঙ্গে এর চরিত্রটা যদি তুলনা করি তাহলে বুঝতে পারব দক্ষিণ আফ্রিকাতে আক্রান্তের সংখ্য়া ৩৫০ থেকে ৩৫০০০ হতে মাত্র ১০ দিন লেগেছিল। অর্থাত্ দশদিনে সংক্রমণ বেড়েছে হাজার শতাংশ। ব্রিটেনে ২ লাখ থেকে ২.১৫ লাখ পৌঁছতে সময়ে লেগেছে ১০-১৪ দিন। ভারত বা পশ্চিমবঙ্গের কথা বিচার করলে যদি ২৭ তারিখ থেকে ধরা যায় তাহলে ১০-১২ দিনের মধ্যে বিশাল সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়ে যাবে।”

আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

ডা কুণাল সরকার বললেন,” আমরা যদি অসাবধান হই তাহলে এটা বাড়বে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ফলেই এই ঢেউ ৪ সপ্তাহের মধ্যে ঠেকানো গিয়েছিল। ভিড় বাড়ালে অতিমারীর চেহারা বাড়বে। অসতর্ক হলে সহজে এই ঢেউ চলে যাবে না।  শুধু কলকাতায় নয়, গতকালের খবর মহারাষ্ট্রের পজিটিভিটি রেট গতকাল ছিল ১৭ শতাংশ। হাসপাতালে যাচ্ছেন ৬ শতাংশ মানুষ। আমাদের এখানেও হাসপাতালে যাচ্ছেন ৬ শতাংশ রোগী। অর্থাত্ গোটা দেশেই এই ট্রেন্ড চলছে। সাবধান হোন। জমায়েত না করে মাস্ক ব্যবহার করুন।মনোক্রনাল নিয়ে একটা কনফিউশন তৈরি হচ্ছে। এর কার্যকারীতা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।

আরও পড়ুন : সম্পূর্ণভাবে ভ্যাকসিনেটেড হওয়ার পরেও সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত জন আব্রাহাম

ড.অভিজিৎ চৌধুরী বললেন,,”সরকার তার করোনা গাইডলাইন বদল করেছে। এর পর তাদের হাতে যত তাড়াতাড়ি নতুন তথ্য আসবে তখনই গাইডলাইন বদল করা হবে। তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে। আমরা এক প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি।  এই ঢেউয়ের চরিত্র কেমন হবে, জটিলতা কেমন হবে তা আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে স্পষ্ট হবে। তাই এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়নি। কিন্তু ভ্যাকসিনের গুণে এবং সম্ভবত যে নতুন প্রজাতি এসেছে তা সংক্রমণের ক্ষমতা অনেকটাই কম। তবে সবথেকে শঙ্কার বিষয় হল, এর সংক্রমণের ক্ষমতা এতটাই বেশি যে ঘরে ঘরে তা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।  আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি হলে বেশিকিছু মানুষ যে গুরুতর অসুস্থ হবেন তা স্পষ্ট।আতঙ্ক করা যাবে না। আবার করোনা কিছু না বলেও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। মানুষের ভিড় আতঙ্কের কারণ হতে পারে।

Topics

Bengal  Covid19 Vaccine Health  Kolkata

Related Articles

Leave a Comment