কলকাতা টুডে ব্যুরো: বৃহস্পতিবার সকালে বিধাননগর পুরসভা নির্বাচনের দুই বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে যান দিলীপ ঘোষ। মুখে গেরুয়া মাস্ক পরলেও দিলীপের মিছিলে ছিল কর্মী–সমর্থকদের ভিড়। তাঁদের মধ্যে আবার অনেকে মুখে মাস্ক পরেননি। এই পরিস্থিতিতে তখনই অকুস্থলে আসে বিধাননগর পুলিশ। সল্টলেকেও দিলীপের প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে এদিনের প্রচারে দিলীপ ঘোষ ছাড়া ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়রা। দুই প্রার্থী মলি পাল এবং পিয়ালী দেবীর সমর্থনে প্রচারে ভিড় হলে আসে পুলিশি বাধা। এমনকী গ্রেফতার করা হতে পারে বলে মাইকিং চলে।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত হৃতিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান
এদিন তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘ইলেকশন বন্ধ না হলে মিটিং মিছিল চলবেই। এখানে ওইসব নিয়মবিধি কেউ মানছেন না। পুরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন দলের পতাকা, ফ্লেক্স ছিঁড়ে, ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের ঠিক আছে। সরকারি যে ঘোষণা তা নিজেই শাসক শিবির মানছে না। অথচ আমাদের বারবার আটকাচ্ছে। যদি তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভোট করে ফাঁকায় জিতে যাবে সেটা বিজেপি হতে দেবে না। ভোট যদি করা হয় তাহলে বিজেপি পুরো শক্তি নিয়ে নামবে’।
আরও পড়ুনঃ উত্তরাখণ্ড পারলেও পশ্চিমবঙ্গ পারে না,’ গঙ্গাসাগর নিয়ে মমতা সরকারকে কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর
রাজ্যের তথা দেশের বিরোধী দল বিজেপি কাজের থেকে সমালোচনা নিয়েই বেশি পারদর্শী হয়ে উঠেছে। মহামান্য হাইকোর্ট যখন গঙ্গাসাগর নিয়ে রায় দান করলেন শুনানি চালাচ্ছিলেন তখন কেন তারা ওঠে পিটিশন দিয়ে তাদের বক্তব্য জানালেন না। আসলে ওরা জাতপাত ধর্ম বর্ণ ভাষা সংস্কৃতি সব নিয়ে ডিভিশনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এটা ভারতবর্ষের কালচার নয়। তাই দিলীপ ঘোষ এরা কি বললেন সেটা কারোর দেখার বিষয় নয় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন বিষয়ে যে সদর্থক ভূমিকা নিয়ে চলেছেন বা চলেন এবং সকলকে একসাথে নিয়ে চলার থাকার যে দিশা দিয়েছেন তাই মানুষ গ্রহণ করেছে। ইউনিটি এবং ডাইভারসিটি আমার দেশের মূলমন্ত্র আর সেটাকেই বাস্তবায়িত করার পথে চলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওরা যে সমালোচনা করে তা এদেশের মানুষ কখনই গ্রহণ করে না। সেই কারণে যত দিন যাচ্ছে মানুষের থেকে বিজেপি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ভোটের প্রচারে ওরা গাজোয়ারি করছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ এবং করোনা বিধি কোনটাই মানছে না, এটা ঠিক নয়। ওদের পাশে সাধারণ মানুষ নেই,। ওরা মনে করছে আগের মত বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে লোক এনে এখানে ভিড় জমাবে ন। কিন্তু ওদের মত বুঝতে হবে আর আগের মতো পরিস্থিতি নেই, এখন ডাকলে হাকলে ওয়াড়লক পাবে না ওরা। আগামী দিনে দেশের মসনদ থেকে ওদের যাবার সময় এসে গেছে সেটা ওদের বোঝা উচিত। এইভাবেই ফের বিজেপিকে কটাক্ষ ফিরহাদের।
Topics
Dilip Ghosh BJP TMC Covid19 Vaccine Health Kolkata