কলকাতা, ১১ ফেব্রুয়ারি: বাম ছাত্র-যুবদের দফায়-দফায় নবান্ন ঘেরাও অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।শিক্ষা ও চাকরির দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানে নামে বামেদের ১০টি সংগঠন। নবান্নের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১০জন বাম সমর্থককে। অভিযানের শুরুতেই প্রবল অশান্তি ও উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। বামেদের প্রতিরোধ করতে এদিন প্রথম থেকে পুলিশ ব্যাপক আয়োজন করে রেখেছিল।
দুপুর ১২টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু, নবান্ন অভিযান ঘিরে কড়া পুলিশি তৎপরতা, ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল আটকাতে পারে পুলিশ। ৪ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন, নজরদারিতে আরএফএস, এইচআরএফএস, র্যাফ, মহিলা র্যাফ, ২৫ টি জায়গায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অ্যালুমিনিয়ামের ফেনসিং, বিক্ষোভকারীদের আটকাতে তৈরি ৪টি জলকামান, ২ টি ড্রোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে। মূলত ১০টি বাম ছাত্র যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযান। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দাবিতে বামেদের এই নবান্ন অভিযান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত কলকাতা পুলিশও। ২৫টি জায়গায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে শহরে।
সকালেই পাঁশকুড়ার বিধায়ক ইব্রাহিম আলির নেতৃত্বে ডিওয়াইএফআইয়ের সমর্থকদের নিয়ে নবান্নের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ বিধায়ক-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আরও বাম কর্মী সমর্থকরা নবান্নের প্রবেশ পথের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেখান থেকে আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ।