রোজভ্যালি কাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে ইস্টবেঙ্গল, চিঠির জবাব নিয়ে সংশয়

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারদার পর এবার রোজভ্যালি কাণ্ডেও জড়িয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নাম। ফলে বেশ অস্বস্তিতে সদ্য শতবর্ষ পূর্ণ করা ক্লাব এবং ক্লাবের পুরনো কর্তারা। শনিবার এই চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে চলা মামলায় লাল-হলুদের হিসাবরক্ষক তথা ক্লাবকর্তা দেবদাস সমাজদারের নাম সামনে এল। এই বিষয়ে একবার নয়, দুবার সিবিআইয়ের তরফ থেকে বেশ কড়া চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ক্লাবের নতুন বিনিয়োগকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের পাঠানো সেই চিঠি কলকাতা টুডের হাতেও এসেছে।

৬ বছর আগে ২০১৫ সালে সারদাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বেশ কয়েক মাস হাজতবাস করেছেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। স্বভাবতই গোটা বিষয় নিয়ে বেশ বিরক্ত লাল হলুদের বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট। একদিকে দল যখন আইএসএল খেলছে, তখন ক্লাব কর্তাদের বারবার চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়া মোটেও ভালভাবে নিচ্ছেন না সংস্থার শীর্ষ কর্তারা। তাঁদের দাবি, চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত সুদীপ্ত সেন ও গৌতম কুণ্ডু জেলে থাকার জন্য তাঁদের সদস্যপদ লাল-হলুদ বাতিল করেছে। ফলে পরিচালন কমিটির অভিযুক্ত সদস্যদেরও ক্লাব থেকে ছেঁটে ফেলা উচিত।

গত ২৯ ডিসেম্বর লাল-হলুদ তাঁবুতে এই বিষয়ে প্রথম চিঠি দেয় সিবিআই। কর্তা দেবদাস সমাজদারকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে ক্লাবের সঙ্গে রোজভ্যালির কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। যদিও সেই চিঠির কোনও জবাব সিবিআইকে দেওয়া হয়নি। তাই গত ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে দ্বিতীয় চিঠি পাঠানো হয়। এটি পাঠানো হয়েছিল ক্লাব সভাপতি ডাক্তার প্রণব দাশগুপ্তকে।

২৯ ডিসেম্বর লাল-হলুদ তাঁবুতে এই বিষয়ে প্রথম চিঠি দেয় সিবিআই। সেই চিঠিতে গত ৭ জানুয়ারির মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রোজভ্যালির সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকলে সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার কথাও সেই চিঠিতে লেখা ছিল। ক্লাবের তরফ থেকে দুটো চিঠির সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। চিঠির জবাবও দেওয়া হয়েছে বলে এক ক্লাব কর্তার দাবি।