কলকাতা টুডে ব্যুরো: লাফিয়ে বাড়ছে করণা সংক্রমণের হার। এই পরিস্থিতিতে আগেই কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন , কলকাতায় ২৫টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। আবাসনে ৪-৫ জন আক্রান্ত হলেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়াও বাজার, জনবহুল রাস্তায় হবে স্যানিটাইজেশন। বাজারে মাস্ক ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ। ১০-১৫ তারিখের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা। মানুষকে সচেতন করতে পারি, জোর করতে পারি না। এলাকাভিত্তিক নয়, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হচ্ছে আবাসন বা বাড়ি। ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হচ্ছে। বাজার রাস্তা স্যানিটাইজ হবে। নো মাস্ক নো সেল।
আরও পড়ুন : আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে, জানাল হাওয়া অফিস
এবার শহরের মেয়র এ নির্দেশ পালন করা হচ্ছে সেই ছবি উঠে এলো শহরের একাধিক বাজারে চলছে স্যানিটাইজেশন এর প্রক্রিয়া। এমনকি গ্রাহকরা মাস্ক না পড়ে থাকেন তাহলে বিক্রেতারা কোন জিনিস তাদের বিক্রি করছেন না এই নিয়ম কড়া ভাবে পালন করা হচ্ছে বাজারগুলিতে। একদিন অন্তর একদিন পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন বাজার স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে। বুধবার সেইমতো শহরের বিভিন্ন বাজার গুলি স্যানিটাইজেশন করতে দেখা গেল।
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত সৌরভ-কন্যা সানা
গত সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। লাগামছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব সর্বত্র। বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের উৎসবে মহানগরীর এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মাস্কহীন ভিড়ের ছবি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কোভিডবিধি মেনে চলায় এই অনীহা নিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেনন, মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশে তো একনায়কতন্ত্র চলে না।’’
কলকাতার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ফিরহাদ। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘মানুষকে সচেতন করার সব রকম প্রয়াস আমরা করতে পারি। কিন্তু কাউকে জোর তো করতে পারি না। পুলিশকে বলব আরও কড়া হতে। পাঁচ-ছ’বার নিউ মার্কেট থানা আর লালবাজারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। রাস্তার হকাররা যাতে মাস্ক পরেন, সেটা দেখতে বলেছি। আর একটু কড়া হতে পারলে এই ঢেউ শীঘ্রই কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা।’
Topics
Bengal Covid19 Vaccine Health Kolkata