নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভোট ঘোষণার পর সবেমাত্র নির্বাচনীবিধি লাগু হয়েছে। তার মধ্যেই বড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। সরিয়ে দেওয়া হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের পুলিশ অফিসার জাভেদ শামিমকে। তাঁর জায়গায় এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে আনা হল জগমোহন সিং-কে। তিনি এতদিন ছিলেন দমকলের ডিজি পদে, তাঁর জায়গায় পাঠানো হল শামিমকে।
পুলিশের রদবদলের পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের উপরও শুরু করল নির্বাচন কমিশন। বীরভূমের বেতজ বাদশা এবং বিতর্কিত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সভার উপর নজরদারি করতে শুরু করল কমিশন। সাম্প্রতিক অতীতে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তাকে ঘরবন্দি করে রেখেছিল কমিশন। বহুক্ষেত্রেই অনুব্রতবাবুর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
অনুব্রত বরাবরই বিতর্কিত চরিত্র। দক্ষ সংঘটক হিসেবে ইনি মমতার অত্যন্ত আস্থাভাজন। কখনও ‘গুড়-বাতাশা’,কখনও ‘বাড়ি থেকে বেরোলেই দেখবেন উন্নয়ন’ বলে বিরোধীদের ঘুরিয়ে হুমকি দিতেন তিনি। এবার অনুব্রত শ্লোগান দিয়েছেন ‘খেলা হবে’। আর তা দেখেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিরোধীরা।
সেজন্যই নির্বাচন শুরুর অনেক আগে থেকেই নির্বাচন কমিশন তাঁকে নানাভাবে বেঁধে রাখতে চাইছে। অনুব্রতর সভায় তাই নজরদারি করা হবে। বীরভূমের সভাপতি তা নিয়ে অবশ্য একেবারেই চিন্তিত নন। তিনি বলে দিয়েছেন, প্রতিবারই নজরদারি থাকে তবুও আমি ভোট দিই এবং ভোটে তৃণমূলই গোল করে জেতে।