নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ-র মন্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে থাকা বিজেপি এবার ক্ষমা চেয়ে নিল। দুদিন আগে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে আক্রমণ করতে গিয়ে সৌমিত্র ‘যৌনকর্মী’ শব্দটি ব্যবহার করেন। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করেন সায়নীও। এরপর শুক্রবার রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘বিজেপি এই ধরনের মন্তব্য সমর্থন করে না। দলের যিনি এমন কথা বলেছেন, তিনি ভুল করেছেন। এ জন্য যাঁদের অপমান করা হয়েছে, দলের পক্ষ থেকে তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। একইসঙ্গে এই মন্তব্যের জন্য রাজ্যবাসীর কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’ এটা বিজেপি-র ‘ভাষা’ নয় বলেও দাবি করেন শমীক।
বিজেপি-র পক্ষে ক্ষমা চাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন সায়নীও। তিনি বলেন, ‘বিজেপি নেতারা যেটা করলেন, তাতে একটা জিনিস প্রমাণিত হল। সেটা হল এই ক্ষমা চাইলেই কেউ ছোট হয়ে যায় না। আজও এটা সত্যি।’
সম্প্রতি সায়নীর সঙ্গে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের বিবাদ চলছিল। তারই মধ্যে বুধবার পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় টলি পাড়ার ‘বিরোধী কণ্ঠস্বর’-এর বিরুদ্ধে সরব হন সৌমিত্র। বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, ‘দক্ষিণ কলকাতায় কিছু ফিল্ম আর্টিস্ট আছেন, যাঁরা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে বেতন পান। তাঁরা বলছেন, শিব মন্দিরে যে শিবলিঙ্গ থাকে তাতে কন্ডোম পরিয়ে শিব পুজো করা হোক। দেবী সরস্বতীকে যৌনকর্মী বলেছেন সায়নী ঘোষ। যারা শিবলিঙ্গকে বা মা মনসাকে অপমান করে, তারাই আসলে যৌনকর্মী।’
সৌমিত্রর এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন সায়নী। তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ কেউ ভাবছে, ‘হিজড়ে’ বা ‘যৌনকর্মী’ বলে দিলে অপমান করা যায়। কিন্তু আমি সব পেশাকে সমান নজরে দেখি।’ সৌমিত্রকে কটাক্ষ করে সায়নী বলেন, ‘রাগে, শোকে ওঁর ভারসাম্য হারানোটাই স্বাভাবিক।’ যদিও সায়নী বনাম তথাগত বিবাদ নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে।