কলকাতা টুডে ব্যুরো: ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গু! এই ব্যাপারে একেবারে উদাসীন কলকাতা পুরসভা। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির যুব মোর্চার। আর সেই সমস্ত একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে পুরসভা অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি যুব মোর্চা। আর সেই অভিযান ঘিরে একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই বিজেপির অভিযান আটকে দেয় পুলিশ। আর তা আটকে দেওয়ার পরেই একেবারে ধব্ধুমার বেঁধে যায়। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। আর এরপরেই রাস্তার উপর বসে পড়েন বিজেপি নেতাকর্মীরা। ঘটনার জেরে একেবারে থমকে যায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ। যদিও পুলিশের তরফে বারবার রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার জন্যে বলা হয়।
কিন্ত্য কেউ পুলিশের কথা কানে তুলতে চান না। আর এরপরেই একেবারে বলপুর্বক বিজেপি কর্মীদের অবস্থান তুলে দেয় পুলিশ। আর তা ঘিরে একেবারে রণক্ষেত্র বেঁধে যায় পরিস্থিতি। বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে ধর্মতলামুখী রাস্তা একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায়। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
জানা যায়, ঘটনাস্থল থেকে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ক্রমশ বাড়ছে বাংলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা! কিন্ত্য এই বিষয়ে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ভাবে উদাসীন বলে অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যে বহু মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু হয়েছে। এমনকি কলকাতাতেই শুধু ৫০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেত্রীর। এমনকি ডেঙ্গুতে ঠিক কতজন আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে তিথ্য সরকার দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ পুরোটাই সরকার লুকাতে চাইছে বলে অভিযোগ তাঁর। এমনকি তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ অবগ্নিমিত্রা পালের।
অন্যদিকে সজল ঘোষের দাবি, পুরো বিষয়টি সরকার লুকাতে চাইছে। আন্দোলনকে দমাতে চাইছে বলেও অভিযোগ তাঁর। বলে রাখা প্রয়োজন, ডেঙ্গু নিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা ছিল বিজেপি যুব মোর্চার,। সেই মতো মিছিল বের হওয়ার কিছু পরেই তা আটকে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। আর তা আটকে দেওয়ার পরেই একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়।
তবে ঘটনার পরেই কলকাতা পুর সভার সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, প্রত্যেকদিনই ব্যাপক ভাবে ডেঙ্গু বাড়ছে। কিন্ত্য এরপরেও সরকার কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।