কলকাতা টুডে ব্যুরো: নবান্ন চলে অভিযানের সমর্থনে বাঁকুড়ার খাতড়ায় এক বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। এই পদযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এর পর এক জনসভা আয়োজন করা হয়। এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা সাধলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,’ দিদি বলেছে, আমার বাড়িতে যদি ED আসে আপনারা বেরোবেন তো? জিজ্ঞাস করছে, দেখতে পাচ্ছে বুজতে পারছে, পেছনের লোকজন কমে যাচ্ছে। এই কাল না পরশু নেতাজী ইনডোর সভা করেছিল, কেন? কেননা দেখতে চাইছিল কটা লোক আছে। কেটে পড়লো না তো সব। কত জেলে গেল, কটা বাইরে আছে, কেউ আবার ঝাড়খণ্ড ওড়িশার জমি কিনতে গেছে। কেজানে এখানে কতদিন থাকবে। এই পরিস্থিতিতে দেখছে কটা আছে।”
প্রধানমন্ত্রীর গ্রাফাইটের নেতাজী মূর্তি উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই প্রসঙ্গই উঠে এলো দিলীপের বক্তব্যে। মমতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এই যে শুরু অভিযোগ, দিদির বাড়িতে হাহাকার। দিদি সেদিন খুব কষ্টের সঙ্গে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী এত বড় নেতাজী মূর্তি তৈরি করলো, আমাকে ডাকলো না। ডেকেছিল চিঠি দিয়েছিল, যায় নি। কোন মুখে যাবে? গেলেই বলবে তো আমার টাকা নেই, টাকা নেই। আর প্রধানমন্ত্রী বলবে, দিদি এত টাকা বেরোচ্ছে ওগুলো কার? সেই লজ্জায় যাচ্ছে না। আর এদিকে বলে বেড়াচ্ছে আমাকে ডাকলো না। আমি বলছি কাল যদি ED ডাকে আপনি যাবেন? CBI ডাকলে যাবেন? ঠিক করে রাখুন। তখন কিন্তু অন্য কথা বলবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “দিদির খুব ভয়। দিদির পুলিশের কাজ হচ্ছে খালি বিজেপিকে আটকানো। আর যে নেতাকে টাকা চুরি করে রেখেছে তাদের পাহারা দেওয়া। CBI কার বাড়ি ঢুকে যাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। তাই CID পাঠিয়ে কিছু মালকরী আগে আলাদা করে রাখছে। সব যদি তুলে নেয় তবে নির্বাচন লড়বে কি করে।”
মমতার পাশাপাশি ফিরহাদ কেও আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ববি হাকিম বলছেন, বাংলার অর্থনীতি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আচ্ছা? এই কালো টাকা নিয়ে অর্থনীতি চলত? কালো অর্থনীতি তার কোনও হিসাব নেই।” । দিলীপ ঘোষ বলেন সব টাকা আস্তে আস্তে বেরোবে। চিন্তা করবেন না ইডি সিবিআই আছে।
Topics
Dilip Ghosh BJP TMC Administration Kolkata