কলকাতা টুডে ব্যুরো: শাসক দলের প্রথম সারির দুই নেতার অন্তর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। ফেসবুক লাইভে এসে কলকাতার মেয়রকে মিস্টার ছাপড়া বলে কটাক্ষ করেন কামারহাটির বিধায়ক ৷ এই ঘটনায় পাল্টা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। সোমবার নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাত ভ্রমণে এসে এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “শুরু হয়ে গেছে। দ্বন্দ কী বলছেন? মল্লযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। বোম বন্দুক দিয়ে সলভ হচ্ছে। এর আগে তাপস রায় দেখেছি। এখন সরকারের হয়ে ববি বাবু ব্যাটিং করছেন। পার্টি কোথায় আর বাংলার সরকার কোথায়? সাধারণ মানুষ বুঝে নিক।”
‘শুভেন্দু হয় ক্ষমা চাইবে, নাহলে বীরবাহার জুতো পালিশ করাবো’ কুনালের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ বলেন, “এসব ডায়লগ দিয়ে কিচ্ছু হবে না। যদি মনে হয় কোর্টে যান। কোর্ট বিচার করবে। দ্রৌপদী মন্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইতে ১৫ দিন নেন। আপনারা যেভাবে সাংবিধানিক পদের অবমাননা করেছেন, তার জন্য ক্ষমা কে চাইবে? উনি নিজে কোনোদিন ক্ষমা চেয়েছেন? দ্রৌপদী কাণ্ডে গোটা বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন।”
অন্যদিকে, প্রসন্নর বাড়ি থেকে দলিলের জেরক্স উদ্ধারে ঘটনায় দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারের দাবি তোলেন কুনাল। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “কারা এসব বলছে? যারা পশ্চিমবাংলায় লুঠের রাজত্ব কায়েম করেছে? কারা দাবি করছে? যারা হরিশ মুখার্জি লেন কে হরিশ ব্যানার্জি লেন করে দিয়েছে। ৩৬ টা প্লট লুঠ হয়েছে ওখানে। এর চেয়ে হাস্যকর কি হতে পারে? আমি বলছি, তোমাদের দম থাকলে গ্রেফতার করে নাও। সিবিআই ইডি এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। অরিজিনাল দলিল ব্যাঙ্কে আছে। প্রসন্ন ওই আবাসনের ইনচার্জ। আমি ওকে চিনতাম। আমার ইলেকট্রিক মিটারে নাম বদলের জন্য ওকে জেরক্স কপি দিয়েছিলাম। আমি লোন নিয়ে বাড়ি কিনেছি। তাতে ওদের খাওয়া ঘুম উড়ে গেছে। আর নিজেরা লুঠ করে একাকার করে দিচ্ছে। “