Home সংবাদসিটি টকস রাজ্যপাল তার যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজে লাগায়’ : দিলীপ

রাজ্যপাল তার যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজে লাগায়’ : দিলীপ

রাজ্য এক জন বিদ্বান ও দূরদর্শী রাজ্যপাল পেয়েছে বলে জানালেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, রাজ্যের উচিত রাজ্যের উন্নয়নে রাজ্যপালের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে ব্যুরো: রাজ্য এক জন বিদ্বান ও দূরদর্শী রাজ্যপাল পেয়েছে বলে জানালেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, রাজ্যের উচিত রাজ্যের উন্নয়নে রাজ্যপালের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো। মানুষ যেন বুঝতে পারে পরিবর্তন ঘটছে। নতুন রাজ্যপাল হিসাবে সি ভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণের আগে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা চাইব এরকম একজন বিদ্বান, দূরদর্শী মানুষকে আমরা রাজ্যপাল হিসাবে পেয়েছি, তার যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা, সেটা যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজে লাগায়।”

রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে শপথগ্রহণ করবেন সিভি আনন্দ বোস।নবান্ন সূত্রে খবর, বাংলার গর্ব রসগোল্লা দিয়ে রাজ্যপালকে স্বাগত জানিয়েছে সরকার। কিন্তু এই বিষয়টিকেই কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্কের প্রেক্ষাপট স্মরণ করিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, এক্ষেত্রে মিষ্টি খাইয়ে সম্পর্ক শুরু হলেও, ভবিষ্যতে যেন রাজ্যপালের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হয়। দিলীপ ঘোষের কথায়, “মিষ্টি খাইয়ে কোনও লাভ নেই। তার থেকে বরং তাঁকে সঙ্গে নিয়ে, তাঁর পরামর্শ নিয়ে বাংলায় পরিবর্তন আনুক রাজ্য সরকার। সরকার যেন নিয়মনীতির মধ্যে চলে।”

প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “জমানা পাল্টাতেই থাকে। এটাই গণতন্ত্র, এটাই রাজনীতি ।পরিবর্তন হতেই থাকে কিন্তু পরিবর্তনটা যেন ভালোর দিকে হয়।” প্রসঙ্গত, রাজ্যের পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সম্পর্কের সমীকরণ সম্পর্কে অবগত গোটা রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীকে একসময়ে টুইটে রাজ্যপালকে ব্লক করতেও দেখা গিয়েছে। রাজ্যপালকে বেলাগাম আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। পাল্টা রাজ্যপালও প্রতি ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। দিলীপ ঘোষ সেই সম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্তব্য করেন, এক্ষেত্রে যেন রাজ্য সরকার রাজ্যপালের পরামর্শ মেনেই কাজ করেন।

বুধবার নতুন রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নিচ্ছেন সি ভি আনন্দ বোস। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সন্ত্রাসের কারণ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্য হিসাবে এসেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। কেরল ব্যাচের প্রাক্তন আইএএস অফিসার হিসাবে এসেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। সব কিছু খতিয়ে দেখে রিপোর্টও জমা করেছিলেন। সেই রিপোর্টে উল্লেখ্য ছিল তত্‍কালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়েরও নাম। এবার তিনিই আবার বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন।
<span;>নতুন রাজ্যপালের দৃষ্টিভঙ্গি কোন পথে এগোবে, ভবিষ্যতে রাজ্যের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ কীরকম হবে, তার দিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা।

Related Articles

Leave a Comment