সন্দেশখালি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট
সন্দেশখালি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের যে নির্দেশে শেখ শাহজাহানের সুরক্ষা পুলিশের কাছ থেকে সিবিআই কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট তা কার্যকর করেনি। সন্দেশখালীতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করতে সিবিআইকে নির্দেশও দিয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের রায়ে কিছু পরিবর্তন এনে এই দুটি নির্দেশই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি বি.আর. গাভাইয়ের বেঞ্চ জানায় যে হাইকোর্টের পুলিশ ও রাজ্যের তত্ত্বাবধানকে উপেক্ষা করা উচিত। ৫ই মার্চ, কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই দিনই শাহজাহানকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল।
তবে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে, নিয়ম মেনেই সঠিকভাবে মামলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, রাজ্য চাইলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে যেতে পারে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে সন্দেশখালি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকবে, অর্থাৎ শাহজাহান সিবিআইয়ের অধীনে থাকবেন।
সরবেরিয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা
৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্ত চলাকালীন সন্দেশখালির সরবেরিয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। তিন ইডি আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছ থেকে ফোন, ল্যাপটপ এবং নগদ টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এরপর নাজাত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকার ইডির বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে। এর মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে ইডির দায়ের করা মামলা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলাগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব পাওয়া গেছে।
সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকে এই মামলার তদন্তের জন্য যৌথভাবে একটি দল গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় ইডি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ টিম গঠন ও তদন্ত স্থগিত করার নির্দেশ দেন। গত ৫ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে শাহজাহানকে সিআইডির কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। যদিও সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি।