কলকাতা টুডে ব্যুরো:সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারের দাবিতে সিজিওর কমপ্লেক্সের সামনে ধর্নায় বসে তৃণমূল। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সারদা, নারদায় শুভেন্দুর ভূমিকায় গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে পালটা কটাক্ষ বিজেপির। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আসলে যে শিয়ালের লেজ কাটা গিয়েছে, সে চায় সবার লেজ কাটা হোক। এসব তৃণমূলের নাটক।
বিজেপির সর্বভারতী সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যে শিয়ালের লেজ কাটা গেছে, সে চাইবে সবার লেজ কাটা হোক।” একইসঙ্গে দিলীপের কটাক্ষ, এসব শাসকদলের নাটক ছাড়া কিছুই নয়।দিলীপ ঘোষ বলেন, “ধরনা কেন দিচ্ছেন ওনারা। সরকারটা তো ওনাদেরই হাতে। আমাদের কত লোককে গ্রেফতার করে রেখে দিয়েছে। একজন নেতাকে গ্রেফতার করে নেবেন, করে নিন। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে মনে হয়, তা হলে সরকার আছে, পুলিশ আছে, সিআইডি আছে। তারা তদন্ত করুক। ভয় পাচ্ছেন নাকি? এরকম নাটক করার কোনও দরকার নেই। ভাবছেন, ওনাদের নেতাদের ডাকছে, এদিক থেকেও কাউকে ডাকা উচিৎ। শুভেন্দুবাবুকে যখন ডেকেছিল, উনি গেছেন, কথা বলেছেন। ওনারা তো যেতেই চান না।
পাঁচবার ছ’বার চিঠি এলেও পালিয়ে যাচ্ছেন।” দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমার মনে হয় ওরা দেখাতে চাইছে তৃণমূল, বিজেপি সমান। কিন্তু ওদের তো সরকার রয়েছে এখানে। মদন মিত্রকে কে গ্রেফতার করেছিল? কুণাল ঘোষকে কে গ্রেফতার করেছিল?” যদিও সোমবারই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “বিজেপির কটাক্ষ করার কোনও অধিকারই নেই। এই বিজেপি ওদের পার্টি অফিসে স্ক্রিন টাঙিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ভিডিয়ো দেখিয়ে গ্রেফতারি দাবি করেছিল। যে শুভেন্দুকে বিজেপি চোর, ডাকাত বলেছিল, এখন তাঁর কথাই অমৃত মনে হচ্ছে বিজেপি বরং আগে তার ব্যাখ্যা দিক।”
অসমের সরকার হোটেল নিয়ে ব্যস্ত। শিলচর নিয়ে হুঁশ নেই।এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”এসব যারা বলছেন, তারা ত্রাণ নিয়ে আসাম যান। ভোটের জন্য তো গেছিলেন। আমাদের সরকার আসাম থেকে মহারাষ্ট্র গিয়ে আমরা সরকার ভাঙ্গিনি। আমরা ত্রিপুরাতে অভিষেককে জেড প্লাস ক্যাটাগরি দিয়েছি। এটা একমাত্র বিজেপিই পারে। অন্য রাজ্যের লোক এলে তাকে ঢিল মারিনা। ঘেরাও করিনা। কালো পতাকা দেখাই না। গো ব্যাক বলিনা। এটা বিজেপির কালচার না।” অভিষেকের মেঘালয় সফর নিয়ে দিলীপ বলিন,” মেঘালয় যাওয়া ভালো। চেরাপুঞ্জির বৃষ্টি দেখে আসুন। মন ভালো থাকবে। চারিদিকের অবস্থা দেখে মন খুব খারাপ।”