Home রাজনৈতিক জমি মিউটেশনে ‘দালালরাজ’ নিয়ে সরব Mamata Banerjee

জমি মিউটেশনে ‘দালালরাজ’ নিয়ে সরব Mamata Banerjee

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে ব্যুরো:পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে জেলা প্রশাসনকে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে, জেলায় পড়ে থাকা প্রকল্প থেকে জমির মিউটেশন, একশো দিনের টাকা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হন।মমতা বলেন, বিএলআরও এখানে কারা এসেছেন? সবার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই।

 

 

জঙ্গলমহলে একসময় রাস্তায় মানুষ বের হতে পারত না। অনেক কষ্টে এখানে শান্তি ফিরেছে। ভেবেছিলাম বিএলআরও অফিসের কাজকর্ম নিয়ে বিচ্ছিন্ন কয়েকটা অভিযোগ পাব। আজ আমি সাক্ষী নিয়ে এসেছি। আমারে পেছনে দেখো কিছু দরিদ্র আদিবাসী পরিবার বসে রয়েছে। অভিযোগ কী? অনেকে আগে জমির মিউটেশন করাতে পারতেন না। এখন যখন তারা মিউটেশন করাতে যাচ্ছেন তখন তা তাকে করতে দেওয়া হচ্ছে না।

 

 

মুখ্যমন্ত্রী বলতে শুরু করেন, বলরামপুরের বিএলআরও অফিসের ঠিক উল্টো দিকে ২টো দোকান রয়েছে। একটি হল করালীকিঙ্কর মোহান্তির দোকান। তার সাইনবোর্ড ভাঙা, অন্যটি হল প্রিয়াঙ্কা ভ্যারাইটিস। বিএলআরও অফিসের সব কাজ ওই দুটি দোকানে হয়। সাধারণ মানুষ বিএলআরও অফিসে সাধারণ মানুষ গেলে বলা হচ্ছে ওই দুটি দোকানে গিয়ে বুঝে আসতে হবে।

মমতা বলেন, গরিব মানুষকে বলা হচ্ছে জমি মিউটেশনের জন্য় রেট চালু হয়েছে। জমির মাপ অনুয়ায়ী ওই দোকান থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মিউটেশনের খরচ বলা হচ্ছে। এরা হচ্ছে মিডল ম্যান। ওরা যেই হোক দ্রুত তদন্ত করে আমি এর একটা রিপোর্ট চাই। একসময় এখানে তপসিলি জাতি উপজাতিদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।

 

আরও পড়ুনঃ Abhishek Banerjeeর বিরুদ্ধে দায়ের মামলা খারিজ হাইকোর্টের

 

এখন অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা আগে ভাবতেই পারতো না বিএলআরও অফিসে যাবে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এখন অনেকে জমি মিউটেশন করাতে চাইছে। জমি রেকর্ড করা নেই বলে অনেক আদিবাসী পরিবার কৃষক বন্ধুর টাকা পাচ্ছে না। এনিয়ে প্রশাসনের তত্পর হওয়া উচিত। সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জেলা এই পুরুলিয়া। দূরের জেলা বলে অনেকেই হয়তো জানাতে পারেন না। হুড়া বিএলআরও অফিসেও ঝামেলা চলছে।

 

 

প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করে তিনি জানান,’পলিটিক্যাল লোকেদের নামে বদনাম বেশি রটে। যাঁরা সরকারের কাজ করে তাঁদের ভাল করে কাজটা করতে হবে। আর আপনাদের নামে  কেউ বদনাম করলে সরাসরি এফআইআর করুন। ই-টেন্ডার করে তাড়াতাড়ি কাজ করে দেবেন। বর্ষা শুরু হয়ে গেলে চার মাস কাজ হবে না। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে তো কাজটা আর সম্পূর্ণই হবে না।’

Related Articles

Leave a Comment