পুরনিয়োগ মামলায় মিলল দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নাম
এবার পুরনিয়োগ মামলায় মিলল দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নাম। মামলার তদন্তে নেমে ইডির হাতে এল একাধিক নথি আর তাতেই মিলেছে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নাম।
সূত্রের খবর অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশি চালানো কালীন ইডির হাতে যেই নথি আসে তাতেই মেলে সুজিতের নাম। তবে ইডি সূত্রের খবর, ওই নথিতে ‘এসবি’ সাঙ্কেতিক নামে সুজিতের পরিচয় দেওয়া হয়। সুজিতের নাম এবং পদবির আদ্যক্ষর মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সাঙ্কেতিক নাম। রাজ্যের আর এক বিধায়কের নামও রয়েছে ওই নথিতে। জানা যাচ্ছে, ওই নথিতে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার জন্য নাম সুপারিশ করেছে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। উল্লেখ্য , সুজিত বসু, রাজ্যের আর এক বিধায়ক এবং বেশ কয়েক জন পুরসভার পুরপ্রধানের সুপারিশক্রমেই মেডিক্যাল অফিসার, মজদুর, ওয়ার্ড মাস্টার, করণিক, গাড়িচালক ইত্যাদি পদে একাধিক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন অয়ন।
২৮ পাতার একটি নথি পান তদন্তকারীরা
এই তদন্তের মূল ভাগ শুরু হয় গত মার্চ মাসের ১৯ তারিখ থেকে। সল্টলেকে অয়নের অফিস এবং হুগলিতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান হয়। সেই সময় দিস্তা দিস্তা উত্তরপত্র (ওএমআর শিট)-এর পাশাপাশি ২৮ পাতার একটি নথি পান তদন্তকারীরা।
আপাতদৃষ্টিতে তা প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মনে করা হলেও পরে দেখা যায় ওই নথির মধ্যে রয়েছে একাধিক পুরসভার প্রার্থী তালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। বাজেয়াপ্ত সেই নথির মধ্যেই প্রার্থীতালিকায় থাকা নামের পাশে বেশ কিছু ‘কোড ওয়ার্ড’ এবং সাঙ্কেতিক চিহ্ন পান তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
একটি পুরসভায় প্রায় ১০০ জন করে নিয়োগ করা হয়েছিল
ইডির জেরায় অয়ন শীল জানিয়েছেন, পুর নিয়োগে দুর্নীতি ২০১৪-’১৫ সাল থেকে শুরু হয়। সেই সময় অর্থাৎ, ২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন সুজিত বসু। ওই সময়ের মধ্যে কমবেশি ৬০টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগের কাজের বরাত অয়নের সংস্থা ‘এবিএস ইনফোজ়োন’ পেয়েছিল বলে ইডি আধিকারিকদের জানান অয়ন। সেই সময় এক একটি পুরসভায় প্রায় ১০০ জন করে নিয়োগ করা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার মতে ৬,০০০ নিয়োগ হয়েছিল অয়নের সংস্থার মাধ্যমে। তার মধ্যে প্রায় ৫,০০০ নিয়োগের ফলাফল ‘বিকৃত’ করা হয়েছিল বলেও মনে করছেন ইডি কর্তারা।