‘কর্ণ-কুন্তী সংবাদ’-এর সুবাদে এক সময় পার্থ ঘোষ এবং গৌরী ঘোষের প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। সেই সময় ‘কুন্তী’র ভূমিকায় ছিলেন গৌরী এবং ‘কর্ণে’র ভূমিকায় ছিলেন পার্থ। গৌরী দেবী আগেই চলে গিয়েছিলেন, এ বার প্রয়াত হলেন বাচিকশিল্পী পার্থ ঘোষও।
বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পার্থ। গলায় অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।এরপর প্রবীণ বাচিকশিল্পীর শারীরির পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল ছিল। আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপরই তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
শনিবার ভোরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন প্রবীণ বাচিকশিল্পী। রেডিয়োয় উপস্থাপক হিসেবে আবৃত্তিকার দম্পতি পার্থ-গৌরীর পেশাজীবন শুরু। দীর্ঘ দিন তাঁরা আকাশবাণী কলকাতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শনিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাচিকশিল্পী। পরিবার সূত্রে খবর, হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ দমদমের এসপি মুখার্জি রোডের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ বসন্ত’ পার্থের কণ্ঠে বিশেষ সমাদৃত হয়েছিল। একই সঙ্গে জনপ্রিয় হয় রবীন্দ্রনাথেরই ‘দেবতার গ্রাস’, ‘বিদায়।’ এ ছাড়া গৌরীর সঙ্গে বেশ কিছু শ্রুতিনাটক ‘প্রেম’, ‘জীবন বৃত্ত’, ‘স্বর্গ থেকে নীল পাখি’ স্মরণে রাখার মতো।
আরও পড়ুনঃ রুজিরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
পার্থের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা লিখেছেন, ‘তাঁর অনবদ্য আবৃত্তি মননশীল শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। তিনি দীর্ঘদিন আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের উপস্থাপক-ঘোষক হিসাবে কাজ করেছেন।
পার্থবাবু পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৮ সালে তাঁকে ‘বঙ্গভূষণ’ সম্মাননা প্রদান করে। তাঁর প্রয়াণে সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি পার্থ ঘোষের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’