কলকাতা টুডে ব্যুরো: ‘রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় রাজ্যে আমিও সক্রিয় রাজ্যপাল হিসাবে কাজ করতে আগ্রহী।’ রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিয়েই নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কী কারণে তাঁর এই মন্তব্য সেই ব্যাখ্যা অবশ্য মেলেনি।
শুক্রবার রাজ্যপালের এই বক্তব্যে প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ” তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হয়ে এ রাজ্যে এসেছেন। রাজ্যে প্রায়শই সংকট তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতকে যদি দূরে সরিয়ে রাখি পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড় যে সাংবিধানিক অধিকার মানুষের কথা বলার অধিকার সেই অধিকারের ওপর কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গেছে। শিক্ষা পাওয়ার অধিকারটা সাংবিধানিক অধিকার সেই অধিকার অবলুপ্তির পথে। বারবার মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। আইনের শাসন কার্যত নেই। শিশু-কিশোররা পর্যন্ত প্রাণ হারাচ্ছে। প্রশাসন শাসক দল মিলে মিশে একাকার। কঠিন সময় তিনি রাজ্যপাল হয়ে এসেছেন। তিনি রাজ্যপাল ভবনে থাকবেন। সংবিধানের রক্ষাকর্তা তিনি, তিনি দেখবেন। কিন্তু আমরা তো রাজনৈতিক দল পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদল আমাদের লড়াই ভিন্ন আমাদের লড়াই রাজনৈতিক লড়াই। দিকে দিকে বিতর্ক তৈরি করছে শাসক দল যে রাজ্যপালকে সামনে রেখে রাজ্যপাল ভবনকে পার্টি অফিস বানাতে চায়। এটা ভুল যেখানে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিধানসভায় বিধায়করা পর্যন্ত তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। তারা কথা বলতে পারছে না। তখন তারা কার কাছে যাবে? তারা তো আর কালীঘাটে গিয়ে মায়ের কাছে কাঁদবে না। তারা রাজ্য পালের কাছে গেছে ভবিষ্যতেও যাবে।”