কলকাতা টুডে ব্যুরো: রাজ্যে ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে ডেঙ্গি। এরইমধ্যে, তা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীদের অভিযোগ, সঠিক তথ্য দিচ্ছে না সরকার। উত্তরপ্রদেশেও তো খুব বেশি ডেঙ্গি হচ্ছে, পাল্টা জবাব দিয়েছে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। এদিকে, স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এ মরসুমে, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই।
এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা Suvendu Adhikari বলেন, “তথ্য গোপন করছে সরকার। কেন্দ্রকে জানাব। সোমবারের মধ্যে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করব।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর গলাতেও ধরা পড়ে একই সুর। তাঁর কথায়, “সরকার যে সংখ্যা দেখাচ্ছে, তার থেকে ২৬২ গুণ বেশি ডেঙ্গি পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। সরকার নির্বিকার, উদাসীন। মানুষতো মরবি মর। দেখার দরকার নেই। সরকার সমস্ত তথ্য গোপন করছে। আর ফিরহাদ তো ডেঙ্গি মিনিস্টার।”
শনিবার কলকাতা পৌরসভার এক অনুষ্ঠানে এসে বিরোধীদের ডেঙ্গু নিয়ে মন্তব্যের পাল্টা দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা ঠিক যে কলকাতায় ডেঙ্গু বাড়ছে। কিন্তু কলকাতা পৌর সংস্থা সব রকম চেষ্টা করছে। প্রচার থেকে শুরু করে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু অনেক জায়গায় বাড়ির মধ্যে জল জমছে। তার ফলে ডেঙ্গু বাড়ছে। বিরোধী দের কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন বিরোধীরা রাজনীতিক সংকটে ভুগছে। তাই তারা গঠনমূলক সমালোচনা না করে বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছে।” শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের ফলে তাকে তার কাছে যদি কোনো পরিসংখ্যান থাকে তাহলে দিন বলে পাল্টা দাবি করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনলাইন মানোয়ান পত্র দাখিল করা নিয়ে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় জানান যে সেটা রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি পাল্টা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন সভ্য সমাজে এমন দাবি ঠিক নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিকে কারোর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। প্রত্যেক নেতার বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে । যারা রাস্তায় দাড়িয়ে আছে তাদের কে ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে হবে বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।