কলকাতা টুডে ব্যুরো: ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। জেলে গিয়ে মানিককে জেরার অনুমতি ED-র।
বৃহস্পতিবার আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি-র দাবি, ” অযোগ্য প্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে যে-ভাবে চাকরি বিক্রি হয়েছে, তা বড় দুর্নীতি।মানিক ভট্টাচার্য প্রথম থেকেই অসহযোগিতা করছেন, জেলে গিয়ে জেরাতেও বলছেন, তিনি কিছুই জানেন না। তদন্তকারী অফিসারদের বেপথে চালনা করেছেন, তথ্য প্রমাণ নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার আদালতে কেস ডায়েরি থেকে ২০ কোটি টাকার তথ্য দেখান ইডি-র আইনজীবী। কিন্তু পাল্টা কাউন্টার করেন মানিকের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। তাঁর কথায়, সেখানে প্রার্থীর নাম ছাড়া কিছু নেই।
আদালতে ইডির সওয়াল, ” ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩২৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁদের পাশ করিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। মধ্যস্থতাকারীর মারফত এরা মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন হয়েছে।” তাই মানিককে যেমন জেরা করা প্রয়োজন তেমন এই ৩২৫ জনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি।
ইডি-র নিশানায় মানিকের জামাই-ও! ইডি-র দাবি, টাকার বিনিময়ে কলেজে রেজিস্ট্রেশন চলত। মানিকের অ্যাকাউন্টে রেজিস্ট্রেশনের টাকা মিলেছে। টাকার অ্যাকাউন্ট সামলাতেন মানিকের জামাই। ইডি-র দাবি, শুধু মানিক নয়, মানিকের জামাইয়ের অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকত। এখানেই শেষ নয়, টাকা ঢুকত মানিকের ভাই, জামাইয়ের বাবার অ্যাকাউন্টেও। প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোতে অফ লাইন বাবদ যে ৫০০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে ছাত্র পিছু তার তালিকা আজ আদালতে দেখান ইডি
বৃহস্পতিবার আদালতে মানিকের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত যে-কোনও শর্তে জামিনের আবেদন জানান, যা খারিজ হয়ে যায়। এদিন আদালতে সওয়াল চলাকালীন তিনি বলেন, ” তদন্তে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু কত দিন ধরে চলবে এই তদন্ত? আমার অভিজ্ঞতা এই ধরনের মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের মামলা দীর্ঘ সময় ধরে চলে। যেমন ২০১৩ থেকে শুরু হয়েছে সারদার তদন্ত। এখনও চলছে। আমাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ? তত দিন কি হেফাজতেই থাকতে হবে? আমার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এই মামলার ভবিষ্যত কি? এই মামলার অধিকাংশ অভিযুক্তই ৭০ বছরের বেশি বয়সি। যতদিন ধরে মামলা চলবে, ওঁরা ৮০ বছর পেরিয়ে যাবে। প্রত্যেকেই ইনোসেন্ট।আমার মক্কেল তাঁর কর্মজীবনে দেখে এসেছে চার্জশিট মানে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা পড়ে। কিন্তু সারদা, নারদা ও এই মামলার মজা হচ্ছে, চার্জশিট জমা হচ্ছে কিন্তু বলা হচ্ছে তদন্ত চলছে।”