কলকাতা টুডে ব্যুরো: চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের হাতে পুলিশের কামড় বিতর্কে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শাসকদলকে নিশানা করে একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। পিছিয়ে নেই বামেরাও। এরই মাঝে গত বুধবার হেয়ারস্ট্রীট থানার পুলিশ আন্দোলনরত এক অসুস্থ চাকরিপ্রার্থীর উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিশি আক্রমণের তীব্র ধিক্কার জানিয়ে সুজন বাবু বলেন – “যাঁদের উপর পুলিশ আক্রমণ চালালো, টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল, এমনকি কামড়ালো, তাঁদের বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করল মমতা ব্যানার্জির প্রশাসন! অথচ যে কামড়ালো সে রইল বহাল তবিয়তে।”
তিনি আরও জানান – “এক পুলিশকর্মী ক্যামেরার সামনে বললেন ,’মরে গেলে তারপর আমরা দায়িত্ব নেব।’ তারপরেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। পুলিশের এই ঘৃণ্য আক্রমণ দেখার পরেও মুখ্যমন্ত্রী রাসমেলায় বসে আছেন। রসে বসে তিনি ভালোই আছেন। আর রাজ্যটাকে সর্বনাশের শেষ সীমানায় নিয়ে যাচ্ছেন। চাকরিপ্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ হুমকি দিচ্ছে, ‘আপনার মেয়ে যেন কলকাতায় না যায়’। এর অর্থই হল – আমাদের ভাষণ না শুনলে বিপদে পড়তে হবে।”
বুধবার টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের সাথে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় পুলিশের। ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় এক পুলিশকর্মী দৌড়ে এসে এক চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের হাতে কামড়ে দেয়। এই ঘটনার পর আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে তুলে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের।
সূত্রের খবর, থানার ভিতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এক চাকরিপ্রার্থী। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাকিরা পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন। প্রত্যুত্তরে থানার অ্যাডিশনাল ওসি সচিন মণ্ডল তাঁদের বলেন, ‘ও মরে গেলে আমরা দায়িত্ব নেব’। এরপর চাকরিপ্রার্থীরা তাঁকে পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, ‘বলছেন দায়িত্ব নেবেন?’ জবাবে অফিসার বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি’।