কলকাতা টুডে ব্যুরো: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন । এই ইস্যুতে তৃণমূলকে বিঁধলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। “এই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন মানেই রক্তের পঞ্চায়েত ।” শনিবার এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ।
তিনি আরও বলেন, “এরাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন মানেই রক্তের পঞ্চায়েত । কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় অস্ত্রের ভাণ্ডার তৈরি করছে তৃণমূল। এরাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মানেই বারুদের পঞ্চায়েত । এবারেও তাই হবে । এরা মানুষকে বিশ্বাস করতে পারে না । পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের মধ্যে চলছে গোষ্ঠীদন্দ্ব । পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য যে অর্থ আসে সেই টাকার কে কত পাবে, কে টিকিট পাবে আর কে পাবে না, কে কত ক্ষমতা দেখাবে এই সবই হচ্ছে । এরা তো রাজ্যের কোনও উন্নতি করে না শুধু নিজেদের পকেট ভরে । আগে বিজেপি কর্মীদের এরা খুন করত আর এখন বিজেপির পাশাপাশি নিজের দলের লোকেদেরকেও এরা ছাড়ছে না ।”
তৃণমূলের তরফে ভোটার তালিকায় নতুন ভোটারদের নাম তুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায় । তাঁর কথায়, “হিন্দুরা বিজেপি করে বলে বহু মানুষকে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে দেওয়া হচ্ছে না । তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে । এ তো অন্যায় । এটা কি মামার বাড়ির আবদার? এটা একটা চক্রান্ত । হিন্দু বিরোধী না-হয়ে যদি এই ভোটার লিস্ট থেকে যারা দুর্নীতি করছেন তাদের নামটা বাদ দেওয়া যায় তাহলে সেটা কাজের কাজ হবে ।”
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গেও এদিন ফের সরব হন বিজেপি সাংসদ । বলেন, “একজন মহিলা রাষ্ট্রপতিকে এহেন ভাষায় কটুক্তি করার পর অপমান করার পর শুধুমাত্র ক্ষমা । আমরা অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁর পদত্যাগ চাইছি ।” অখিল গিরির মন্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার অর্থাত্ 21 নভেম্বর মহিলা মোর্চার ডাকে পথে নামবে বিজেপি । এদিন এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন লকেট চট্টোপাধ্যায় ।