উদ্বোধনের আগে ঢেলে সাজানো হচ্ছে গোটা অযোধ্যা শহর
২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন আর তারই প্রস্তুতি এই মুহূর্তে তুঙ্গে। উদ্বোধনের আগে ঢেলে সাজানো হচ্ছে গোটা অযোধ্যা শহর। ইতি মধ্যেই সেখানে বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন তৈরি করা হয়েছে। শনিবার তারই উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বিমানবন্দরের নাম ছিল ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রাম অযোধ্যা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’। সূত্রের খবর অনুযায়ী বিমানবন্দরের নতুন নাম রাখা হতে চলেছে রামায়ণ মহাকাব্যের স্রষ্টা মহর্ষি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অযোধ্যা পৌঁছানোর পর তাঁকে স্বাগত জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলও। মন্ত্রোচ্চারণ এবং পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। অযোধ্যার রাস্তায় রোড শো করছেন তিনি। তাঁর দিকে গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছুড়ে দেন রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন।
রাস্তার মাঝখান দিয়ে এগোচ্ছে মোদীর কনভয়
মোদীর রোড শো ঘিরে অযোধ্যায় মানুষের উন্মাদনা একপ্রকার চোখে পড়ার মত। রাস্তার মাঝখান দিয়ে এগোচ্ছে মোদীর কনভয়। গাড়ি থেকেই সকলের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ান মোদী। রাস্তার ধারে ধারে ছোট ছোট মঞ্চ তৈরি করে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইতিমধ্যেই সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করলেন মোদী। অযোধ্যা স্টেশন থেকে বিপরীতমুখী গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করল নীল-সাদা রঙের বন্দে ভারত এবং গেরুয়া-ছাই রঙা অমৃত ভারত। জানা যাচ্ছে মোট ছ’টি বন্দে ভারত এবং দু’টি অমৃত ভারত ট্রেনেরও সূচনা করেন মোদী। দু’টি অমৃত ভারত ট্রেনের মধ্যে একটি পশ্চিমবঙ্গের ঝুলিতে। রাজ্যের মালদহ টাউন স্টেশন থেকে ট্রেনটি ইতিমধ্যেই তার গন্তব্য বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
নবনির্মিত অযোধ্যাধাম স্টেশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
পাশাপাশি নবনির্মিত অযোধ্যাধাম স্টেশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁকে স্টেশনের সব অংশ ঘুরে ঘুরে দেখান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সঙ্গে রয়েছেন আদিত্যনাথও।
অযোধ্যা যাত্রা করার আগে মোদী তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘ভগবান শ্রীরামের অযোধ্যায় বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরি, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ঐতিহ্যরক্ষা করতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। আমি শনিবার অযোধ্যায় নতুন করে তৈরি করা বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনটির উদ্বোধন করব। পাশাপাশি, অযোধ্যায় আরও অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করব, যা অযোধ্যা, উত্তরপ্রদেশ এবং সর্বোপরি দেশের মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ করে তুলবে।’’