Home NEWSCURRENT AFFAIRS (Bengali) ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট, আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বৈধ

(Bengali) ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট, আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বৈধ

চাকরি, শিক্ষা বিভিন্নক্ষেত্রে সংরক্ষণ নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বৈধ

by Kolkata Today

*ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট, আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বৈধ*

কলকাতা টুডে ব্যুরো: চাকরি, শিক্ষা বিভিন্নক্ষেত্রে সংরক্ষণ নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বৈধ। সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সোমবার এই রায় দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার সাংবিধানিক বেঞ্চ ৪:১ অনুপাতে আজকের এই রায় দিয়েছে। অর্থাৎ সাংবিধানিক বেঞ্চের ৫ বিচারপতি মধ্যে ৪ জনই এই সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছে। ১ জন বিচারপতি সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছেন। জানা গিয়েছে, সাংবিধানিক বেঞ্চের একজন বিচারপতি জানিয়েছেন, সংরক্ষণ কখনও স্থানীয় সমাধান হতে পারে না, অন্যদিকে আরও এক বিচারপতি এই সংরক্ষণের পক্ষেই জোরাল সওয়াল করেছেন।

দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে চাকরি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। সংসদে বিল পাশ করে তা আইনে পরিণত করেছিল কেন্দ্র। দেশের কোনও রাজনৈতিক দলই খোলাখুলি এর বিরোধিতা করেনি। কিন্তু ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিরোধিতা করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সহ অনেকে সুপ্রিম কোর্টে মোট ৪০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ৪৬ নম্বর ধারায় শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়েছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়নি।

সুপ্রিম কোর্টের কাছে দায়ের করা পিটিশনে এই সংরক্ষণ আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ৩ জন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। এতদিন এসসি, এসটি ও ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ ছিল। এখন থেকে আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের সর্বমোট ১০ শতাংশ সংরক্ষণে কোনও সমস্যা রইল না। রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ১০ EWS সংরক্ষণ কোনওভাবেই অবৈধ নয়।

এই রায় প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ যথার্থই ছিল। আমরা আগেও বলেছিলাম, সামাজিক ভিত্তির সঙ্গে অর্থনৈতিক ভিত্তিগুলিকেও দেখা উচিত। আমাদের রাজ্যে EWS সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা বারবার বলা সত্ত্বেও কার্যকর হয়নি। আশা করব এখন রাজ্য সরকারের সম্বিত ফিরবে এবং সার্টিফিকেট প্রদানের বন্দোবস্ত করা হবে।”

এই রায় প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এই রায়ের মধ্যে বিস্ময়কর কিছু নেই। সংবিধান সংশোধন করে আর্থিক অনগ্রসর শ্রেণিকে সংরক্ষণ দেওয়ার যে আইন করা হয়েছিল, তার পিছনে যে উদ্দেশ্যেই থাকুক, তা অসংবিধানিক নয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আরও একবার এটা প্রমাণিত।”

Related Articles

Leave a Comment