নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নির্বাসিত হেড কোচ রবি ফাওলারের সহকারী টনি গ্রান্টের ক্ষোভ যেন কিছুতেই কমছে না। কয়েকদিন আগে টুইটারে ক্লাবের পুরোনো ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন লিভারপুল কিংবদন্তির প্রিয় বন্ধু। সেই বিতর্ক মিটতে না মিটতেই ফের সমালোচকদের একহাত নিলেন ফাওলারের সহকারী। রবিবার ৭ ফেব্রুয়ারি জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ফিরতি পর্বে নামবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। দলের অবস্থা এমনিতেই খারাপ। ১৫ ম্যাচে ঝুলিতে মাত্র ১৩ পয়েন্ট। দেওয়ালে পুরোপুরি পিঠ ঠেকে গিয়েছে। এরমধ্যে আবার রবি ফাওলার নির্বাসিত। এই জামশেদপুরের বিরুদ্ধে গতবার গোল শূন্য ড্র করেছিল লাল-হলুদ। কিন্তু এই ম্যাচে কি আদৌ কোচহীন ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?
টনি গ্রান্ট বললেন, রবি ফাওলারের না থাকা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা দলের কাছে। চার ম্যাচে স্টেডিয়ামেও থাকতে পারবেন না কোচ। ডাগ আউটে ফাওলারের উপস্থিতি মিস করবেন তিনি। সহকারী কোচ নিন্দুকদের একহাত নিয়ে টনি গ্রান্ট বলছেন, ‘সবার শেষে আইএসএলে যোগ দেওয়ার পর মাত্র তিন সপ্তাহের প্রি-সিজন করেছি। তবুও ছেলেরা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। এগুলোর পাশাপাশি আবার জৈব বলয়ের মধ্যে মাসের পর মাস থাকা। আমাদের সমস্যাগুলো কেউ দেখছেন না। বরং নিন্দুকরা একটার পর একটা পাথর ছুঁড়ে চলেছে আমাদের দিকে।’
ফাওলারের কোচিং পদ্ধতি নিয়ে দেশের একাধিক প্রাক্তন ফুটবলাররা প্রশ্ন তুললেও বন্ধুর তারিফ করছেন দলের সহকারী। সেটাও অবশ্য স্বাভাবিক। কারণ গ্রান্টকে যে ভারতীয় ফুটবলে তিনিই এনেছিলেন। তাই প্রিয় বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রান্ট বলছেন, ‘অঙ্কের বিচারে প্লে-অফে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে আমাদের হেড কোচের জন্য বাকি ম্যাচ গুলো জিততে চাই। কারণ রবি ড্রেসিংরুমের কাছে একটা উদাহরণ। ও না থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া বেশ কঠিন। তবুও কোচের জন্য বাড়তি তাগিদ নিয়ে মাঠে নামতে হবে।’