নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শেষ পাঁচ ম্যাচে জয় নেই। ক্লাব-ইনভেস্টর বিবাদ, কোচ ফাওলার চার ম্যাচ সাসপেন্ড, একটা দলের খারাপ সময়ের জন্য যে যে শর্ত বা মানদন্ড থাকার দরকার তার সবগুলোই ছিল। এই অবস্থায় দলকে অক্সিজেন দিতে পারত একটা জয়। কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। রবিবার ফতোরদায় সেটাই করে দেখাল এসসি ইস্টবেঙ্গল। নির্বাসিত ফাওলার গ্যালারি থেকে দলের কাঙ্খিত জয় দেখলেন। শেষ মুহূর্তের চাপ, জামশেদপুরের একের পর এক আক্রমণ, সুব্রত পালের দুটি দুরন্ত সেভ। সব পেরিয়ে প্লে-অফের দৌড় থেকে দূরে সরে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল আইএসএলের তৃতীয় জয় তুলে নিল। স্টেইনম্যান ও পিলকিংটনের গোলে জামশেদপুর এফসি-কে তারা হারাল ২-১ ব্যবধানে। ১৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট হল লাল-হলুদের। কেরালা ব্লাস্টার্সকে টপকে ১০ থেকে ৯ নম্বরে উঠে এল রবি ফাওলারের দল। ১৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে জামশেদপুর থেকে গেল সাতেই।
নির্বাসনের কারণে ডাগ আউটে ছিলেন না লাল-হলুদ কোচ রবি ফাওলার। কিন্তু তার আগেই কাজের কাজটা করে গিয়েছিলেন লিভারপুল লেজেন্ড। প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছিলেন সুব্রত পাল, সৌরভ দাস এবং সার্থক গোলুইকে। পারফরম্যান্সের নিরিখে তিনজনেই এদিন সফল। এতদিন পর্যন্ত মাঝমাঠে সঠিক কোনও ব্লকার পাচ্ছিল না ইস্টবেঙ্গল। যে কারণে চাপে পড়ে যাচ্ছিলেন ড্যানি ফক্স, স্কট নেভিলরা। এদিন নেভিলকে নামতেই হল না। গোলুই, মাঘোমা এবং সৌরভ মিলে জামশেদপুরকে মাঝমাঠ টপকাতে দিলেন না।
নারায়ণ দাসের নাম আলাদা করে বলতেই হবে। ইদানিং অনবদ্য খেলছেন। দুটি গোলের ক্ষেত্রেই কৃতিত্ব তাঁর। মাপা কর্নার রেখেছিলেন বক্সে। লাফিয়ে পিছন দিকে হেড করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন মাত্তি স্টেইনম্যান।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান পিলকিংটন। এই গোলের পিছনেও স্টেইনম্যানের অবদান। সৌরভ দাস বিপক্ষের মাঝমাঠ থেকে বল কেড়ে পাস করেন স্টেইনম্যানকে। জার্মান ফুটবলার বাড়িয়ে দেন সামনে থাকা অ্যান্থনি পিলকিংটনকে। ডিফেন্ডার ঘাড়ে নিয়েও পিলকিংটন বল জালে জড়াতে ভুল করেননি। এই জয় টিমটিম করে প্লে-অফের একটা ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখল রবি ফাওলারের দল। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি মেগা ডার্বির আগে এই ছন্দ ধরে রাখতে হবে মাঘোমা, সৌরভদের।