নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চলতি আইএসএলে খারাপ রেফারিং নিয়ে আগেই প্রতিবাদ জানিয়ে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। একটি ক্ষেত্রে রেফারির ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারও হয়েছে। এবার তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানও সেই রাস্তায় হাঁটল। ক্ষোভ ছিলই, এবার কড়া চিঠি ও ম্যাচের ফুটেজ দিয়ে প্রতিবাদ জানাল এটিকে মোহনবাগান। শুধু তাই নয়। একই সঙ্গে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম ডিরেক্টর দেবাশিস দত্ত। যদিও এই চিঠিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ ফেডারেশন সচিব কুশল দাস।
মঙ্গলবার নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে তিরিকে ফাউল করার পাশাপাশি রয় কৃষ্ণকে বিপক্ষের বক্সে ফেলে দেওয়ার পরেও সবুজ-মেরুনের অনুকূলে পেনাল্টি দেয়নি রেফারি ক্রিস্টাল জন। যা কোনওমতেই মানতে পারছে না এটিকে মোহনবাগান। তাদের মতে সেই দুটি সিদ্ধান্ত মোহনবাগানের পক্ষে গেলে ম্যাচের ফলাফল বদলে যেত। ম্যাচটা জিততে পারলেই শীর্ষে থাকা মুম্বইয়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেতে পারত আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। পাহাড়ের দলের বিরুদ্ধে হারের পর ১৩ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে এখনও লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সবুজ মেরুন। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মুম্বই। হাতে রয়েছে বাকি ৭ ম্যাচ। প্রথম স্থানে থাকা দলের থেকে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন প্রীতম, সন্দেশরা। ফলে শীর্ষে ওঠা বেশ কঠিন।
ক্ষুব্ধ দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দারুণভাবে আইএসএল আয়োজন করছে এফএসডিএল। তবে রেফারিং খুবই নিম্নমানের। এমন রেফারিং চলতে থাকলে সবাই ভারতীয় ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।’
যদিও এআইএফএফ সচিব কুশল দাস সবুজ মেরুন কর্তার অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিনই এমন চিঠি আমাদের কাছে আসছে। আসলে রেফারিদের দোষ দেওয়া খুবই সোজা। কিন্তু বায়ো-বাবলের মধ্যে এত কম সংখ্যক রেফারি নিয়ে কীভাবে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে সেটা অনেকেই বুঝতে পারছে না।’ তবে কুশল দাস যাই বলুন তিরি-রয় কৃষ্ণাদের কোচ হাবাসও রেফারিং নিয়ে সন্তুষ্ট নন। নর্থ ইস্ট ম্যাচের পর বলেন, ‘মাত্র তিনটি ম্যাচ হেরেছি আমরা। পুরো লিগটা তো আর হারিনি। রেফারিদের কাছ থেকে আরও একটু পেশাদারি মনোভাব আশা করি। অন্য দলগুলো যেখানে পাঁচ-ছটা করে পেনাল্টি পেয়েছে, সেখানে আমাদের এখনও পর্যন্ত মাত্র একটা পেনাল্টি দেওয়া হয়েছে। কারণটা আমার অজানা।’