নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আইএসএলে তৃতীয় জয় অধরা এসসি ইস্টবেঙ্গলের। বলা ভাল, দশ জনের ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল চেন্নাইয়িন এফসি-র থেকে। দু’বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষাতে ২-২ গোলে শেষ করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। সোমবার দ্বিতীয় লেগেও তাদের বিরুদ্ধে গোলশূন্যভাবে অমীমাংসিত থাকল লাল-হলুদের লড়াই৷ এই ড্রয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরেই রইল রবি ফাওলারের দল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে চেন্নাইয়িন এফসি। ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি। আর ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের সেকেন্ড-বয় এটিকে মোহনবাগান৷
ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলার এদিন দলে তিনটি পরিবর্তন করেন৷ দলে ফেলেন অ্যান্থনি পিলকিংটন, সুরচন্দ্র সিং এবং মাত্র তিন দিন আগে সই করা অজয় ছেত্রী৷ প্রথম একাদশে রাখেননি স্টেইনম্যান, হরমনপ্রীত সিং ও রানা ঘরামি৷ তবে মরশুমে প্রথমবার পিলকিংটন, ব্রাইট ও মাঘোমাকে রেখে ফরোয়ার্ড লাইন সাজান লাল-হলুদ।চেন্নাইয়ান এফসির বিরুদ্ধে প্রথমার্ধের খেলায় পরপর দুটি হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান ইস্টবেঙ্গলের নবাগত মিডফিল্ডার অজয় ছেত্রী৷ ম্যাচের ৩১ মিনিটে রহিমকে কড়া ট্যাকেল করায় লাল-হলুদের তরুণ ফুটবলার লাল-কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান৷ প্রথমার্ধের ১৫ মিনিট আগে থেকেই ১০ জনে খেলতে হয় লাল-হলুদকে৷ এই পরিস্থিতিতে প্রথমার্ধে চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে লড়াই করে তেকাঠি অক্ষত রাখে ফাওলারের ছেলেরা। প্রথমার্ধ শেষে ম্যাচের স্কোরলাইন থাকে ০-০৷ প্রথমার্ধে কোনও দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেনি৷ তবে ১০ জনের ইস্টেবেঙ্গলকে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় চেন্নাইয়িনের ফরোয়ার্ড লাইন৷
দ্বিতীয়ার্ধে চেন্নাইয়িন এফসি বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে৷ কিন্তু লাল-হলুদ গোলকিপার দেবজিতের সামনে আটকে যায়৷ ম্যাচের ৭০ মিনিটে ইসমার দারুণ পাস বাড়ান রহিমকে৷ কিন্তু এগিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করেন দেবজিত৷ এই ম্যাচেও তিনি যে ইস্টবেঙ্গলের পরিত্রাতা সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷ ৭২ মিনিটে পিলকিংটন দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নিলেও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হন৷
৮৫ মিনিটে দলে প্রথম পরিবর্তন করে ইস্টবেঙ্গল৷ ব্রাইটের পরিবর্তে আমাদি হোলোওয়েকে নামান ফাওলার৷ মাঠে নেমেই বক্সের কাছে ফ্রি-কিক আদায় করে নেন হোলোওয়ে৷ আগের ম্যাচ এডু গার্সিয়া ফ্রি-কিক থেকে গোলকে ম্যাচ ড্র করেছিলেন৷ কিন্ত পিলকিংটন ফ্রি-কিক বাইরে মারেন৷ ফলে ৮৮ মিনিটেও ম্যাচের ফলাফলে কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ ৯০ মিনিটে গোলরক্ষক দেবজিতের ভুলে গোল খেতে বসেছিল ইস্টেবঙ্গল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।