কলকাতা টুডে ব্যুরো : বিধান নগর কোর্টে একটি মামলায় মঙ্গলবার দিন হাজিরা দিতে আসেন তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৯ সালে জাতীয় সরকের ওপর রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দুটি এফ আই আর হয় শক্তিগড় থানায়।
এর পর সেই কেস আসে ম পি এম এল এ কোর্টে। আজ বিচারক ১০০০ টাকা করে দুটি কেসে ব্যাক্তিগত বন্ডে জমিন দেয়। পরবর্তী ডেট থেকে সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হবে এবং ট্রায়াল চলবে। কোর্ট থেকে বেরিয়ে বাবুল সুপ্রিয় জানান,”অর্জুন হচ্ছে একমাত্র পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে একমাত্র ছিলেন যার চোখ পাখির চোখের দিকে থাকতো।
তাতে উনি কি ভাবছেন সেটা নিয়ে কোন মন্তব্য আমার করার প্রয়োজন নেই।উনি অনেক দিনের রাজনীতি বিদ ।উনি কিভাবে ভাবছেন কি করতে চলেছেন আপনারা টিভিতে দেখাবেন আমি টিভি দেখে জানতে পারবো।” তিনি বলেন,”বিজেপি দলটা ডিসইটিগেটেট।
নিজেদের মধ্যে এতগুলো ফ্যাকসেনে আমাদের কৃষ্ণ বিহারী নূর সাহেব এর একটা লাইন আছে কিতনে হিস্সোমে বাট গায়ে হাম কি মেরে হিস্সোমে কুচ বাঁচাহি নেহি।বিজেপির এটাই হালত ইতনে হিস্সোমে বাট গ্যয়ে এ বিজেপি কি হিস্সোমে কুচ বাঁচাহি নেহি।বাকি বিধায়কদের মধ্যে যারা ইন্টেলিজেন্ট যাদের মানুষের সাথে কানেক্ট আছে সব থেকে ইম্পর্টেন্ট হচ্ছে আপনি বাস থেকে নামলেই দশ টা লোক আপনার কাছে আসবে কিনা।আপনাকে কেউ চেনে কিনা এরকম নেতা বিজেপিতে হাতে গোনা দু চারজন আছে।
ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্ত্যব করেন বাবুল সুপ্রিয়।তিনি বলেন,” বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে খুশি রাখতে পারলে পদ অক্ষত থাকবে। তা না হলে সেই পদ থেকে সরে যেতে হবে, এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র। তিনি আরও জানান ,”যে সকল বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার তিনটি পায়া। বাকি একটি পায়া দিল্লির নেতৃত্বের ওপর নির্ভর। যেকোনো সময় নেতৃত্ব অখুশি হলেই চেয়ার থেকে পরে যেতে পারে। সেই সপক্ষে যুক্তি টেনে বলেন, আজ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে খুশি রাখতে পারিনি বলে বিজেপিতে নেই।”