নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই সমর্থকদের মন জিতে নিয়েছেন। ব্রাইটের উজ্জ্বলতায় লাল-হলুদের আক্রমণভাগে এখন হাজার ওয়াটের আলো। কদিন আগেও যে দলের আক্রমণভাগ ছিল ফ্যাকাসে, সেটাই এখন ব্রাইটের সৌজন্যে দ্যুতি ছড়াতে শুরু করেছে। সমর্থকদের কাছে এখন আশার আলো রবি ফাওলারের টিমের অ্যাটাকিং লাইন। তবে বুধবার গোয়া ম্যাচের আগে সেই নাইজিরিয়ান ব্রাইট এনোবাখারেই মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছেন কোচ রবি ফাওলারের কাছে। গোয়া ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন স্বয়ং লিভারপুল লেজেন্ড।
কিন্তু কেন এই মাথাব্যথা? না, ব্রাইটকে নিয়ে মাথাব্যথাটা আসলে সুস্থ ও সুখের মাথাব্যথা। কারণ, ব্রাইট প্রথম ম্যাচেই মাত্র মিনিট ২০ মাঠে থেকে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তাতে ইস্টবেঙ্গল কোচের স্ট্রাইকিং লাইন নিয়ে দুশ্চিন্তা যেমন কমেছে, তেমনই বুধবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে কোন পাঁচ বিদেশি নিয়ে শুরু করবেন তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আর এটাই রবি ফাওলারের কাছে সুস্থ মাথাব্যথা।
ব্রাইটকে প্রথম একাদশে রাখতে হলে কোপ পড়বে অন্য একজনের উপর। পিলকিংটন, মাঘোমা কিংবা স্টেইনম্যান এদের তিনজনের কাউকেই প্রথম একাদশের বাইরে রাখার সাহস দেখাবেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ। আবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড্যানি ফক্স। সুতরাং ফক্সকেও বাইরে রাখার সাহস দেখাবেন না লিভারপুল কিংবদন্তি।
তাই কোপ পড়ার সম্ভাবনা বেশি স্কট নেভিলের উপর। সেক্ষেত্রে রক্ষণে ফক্সের সঙ্গী কে হবেন? কারণ ওডিশা ম্যাচে নেভিলকে তিনি জুড়ে দিয়েছিলেন ফক্সের সঙ্গে। অস্ট্রেলীয় ডিফেন্ডারকে বসালে ফক্সের সঙ্গী হিসেবে রাজুকে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে খেলিয়ে অঙ্কিত মুখার্জিকে শুরু থেকে ব্যবহার করা যেতে পারে। ফাওলার কী করেন সেটাই দেখার। তবে ইস্টবেঙ্গল কোচের কথায়, ‘ব্রাইট এনোবাখারের অভিষেক ইস্টবেঙ্গল থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা যে কোনও দলের জন্য দারুণ একটা নিদর্শন। ব্রাইট টিমে আসায় আমি এখন আলাদা ফর্মেশনেও খেলাতে পারব। বাকি ফুটবলারদেরও যথেষ্ট ম্যাচ টাইম দেওয়ার সুযোগ পাব।’