Home সংবাদসিটি টকস ভবানীপুরে জোড়া খুন

ভবানীপুরে জোড়া খুন

by Soumadeep Bagchi

৬০উর্ধ গুজরাতি দম্পতি অশোক ও রেশমি শাহ হত্যাকাণ্ডে (Couple Murder) প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী মহিলার দেহে বুলেটের ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। পাশাপাশি, অশোক শাহের দেহে মিলেছে একাধিকবার ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। এছাড়াও আছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের প্রমাণ।

 

দুটি দেহ-ই মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হবে। এরপরই নিশ্চিত করে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলা যাবে। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। খুনের মোটিভ নিয়ে ধন্দে আছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ঘর থেকে বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী উধাও। তাই প্রাথমিকভাবে লুঠের উদ্দেশ্যে খুন বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনও মোটিভ থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। নজর ঘোরানোর উদ্দেশ্যেই কি গোটা ঘটনাকে লুঠের মোড়ক দেওয়ার চেষ্টা? পরিচিত মুখ দেখেই কি দরজা খুলে দিয়েছিলেন দম্পতি? কোনও সম্ভাবনাই খারিজ করে দিচ্ছেন না তদন্তকারী অফিসাররা।

 

একেবারে রাস্তার ওপর বাড়ি। তাই সারাদিন-ই সদর দরজা বন্ধ রাখা হত বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমে এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গলিতে সন্দেভাজন ‘মুভমেন্টে’র বেশ কিছু ছবি পেয়েছে পুলিস। সেই ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগে এলগিন রোডে ভাড়া থাকতেন অশোক শাহ ও তাঁর পরিবার। ১৯৯৮-৯৯ সাল নাগাদ হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িতে চলে আসেন শাহরা। মেহেতা বিল্ডিংয়ে আগে তাঁদের স্টোভের দোকান ছিল। অশোকের তিন মেয়ে। তারমধ্যে দুই মেয়ে বিবাহিতা। একজন বিয়ের পর বর্ধমানের দিকে থাকেন। অন্যজন ভবানীপুরের অন্য ওয়ার্ডে থাকেন। ছোটো মেয়ে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন।

 

 

আরো পড়ুন :নিজের ফিটনেস সিক্রেট শেয়ার করলেন নুসরত 

সোমবার মেজো মেয়ে বিকালের পর বার বার বাবাকে ফোন করেন। কিন্তু ফোনে পাননি। মাকেও ফোন করেন। কিন্তু মায়ের ফোনও পাননি। তাতেই সন্দেহ হয়। এরপরই বাড়িতে এসে দেখেন সদর দরজা খোলা। তারপর ঘরের ভিতর পা দিতেই দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে বাবা-মায়ের দেহ। ভরসন্ধেয় বেলায় বাড়িতেই খুন স্বামী-স্ত্রী? ভবানীপুরে দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় শহর জুড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিসের অতিরিক্ত কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী, মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ সফর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিস কমিশনারকে ফোন করে নির্দেশ দেন, “যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।”

Related Articles

Leave a Comment