কলকাতা টুডে ব্যুরো: ভালো ছবির জন্য কী প্রয়োজন? শুধু দামি ক্য়ামেরা হলেই হয় না। লাইট, ফোকাস, আরও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। ক্য়ামেরায় ভালো ছবি তোলার ক্ষেত্রে আর একটা গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট ‘ফোকাল পয়েন্ট’। কাতার বিশ্বকাপে সেই ফোকাল পয়েন্ট লিওনেল মেসি। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। স্বপ্ন তাড়া শুরু করলেন লুসেইল স্টেডিয়ামে। প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। স্বপ্ন তাড়ার শুরু হল, দুঃস্বপ্নে। কাগজে কলমে যে দল, যতই শক্তিশালী হোক না কেন, মাঠের পারফরম্যান্সই আসল। মেসির স্বপ্নে সামিল সতীর্থরাও। শুরু থেকেই সেই তাগিদ দেখা গেল। কিন্তু শেষটা…।
ম্যাচ শুরুর মাত্র ২ মিনিট। আর্জেন্টিনা মিডফিল্ডের অনবদ্য মুভ। ডি মারিয়ার পাস, মেসির বাঁ পায়ের শট, কোনও রকমে বাঁচান সৌদি আরব গোলরক্ষক মহম্মদ আল ওয়েস। সেই চেষ্টা ব্য়র্থ হলেও গোলের জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে বক্সের মধ্যে ফাউল। ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত রেফারির। ১০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন এলএম টেন। মিড ফিল্ড এবং আক্রমণ ভাগের দারুণ বোঝাপড়া। একের পর এক সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধেই তিনটি গোল বাতিল হয় অফ সাইডে। বারবার অফসাইডের ফাঁদে আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে এ যেন নতুন সৌদি আরব। নতুন উদ্যমে ঝাঁপাল এশিয়া সেরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল। প্রথমটি সালেহ আল-শেহরির। সমতা ফেরানোর পর সৌদি গ্যালারি আরও তেতে উঠল। তাদের গর্জন ভরসা জোগাল ফুটবলারদেরও। সাফল্য এল দ্রুতই। ৫ মিনিটের মধ্যেই সালেম আল-দাওয়াসারির অনবদ্য গোলে ২-১ এগিয়ে যায় সৌদি আরব। তাদের অনবদ্য রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ আর্জেন্টিনা। ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হার, হতাশায় শুরু আর্জেন্টিনার।