কলকাতা টুডে ব্যুরো: গত দুটি বিশ্বকাপে বেলজিয়াম গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচেই জিতেছে। এবার তাঁদের গ্রুপে ২০১৮ সালের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো এবং প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ কানাডা। অন্যদিকে কানাডা একরাশ আশা নিয়ে দোহায় পা রেখেছে। ১৯৮৬ সালের পর দেশটির দ্বিতীয় বিশ্বকাপ অ্যাপিয়ারেন্স এটি। বেলজিয়ামের গত কয়েকবছরের ট্র্যাক রেকর্ড বলছে, নিচের ব়্যাঙ্কিংয়ে থাকা দলের বিরুদ্ধে তারা খুব সহজভাবেই উতরে গিয়েছে। গতবছরের ইউরো কাপে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স এবং কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির বিরুদ্ধে হেরেছিল তারা।
এডেন হ্যাজার্ড, ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে বেলজিয়াম দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ২০১৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর খুব কমই প্রথম একাদশে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যাই হোক, দলের কোচ রবার্তো মার্টিনেজের পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে ক্যাপ্টেনের উপর। দলের অন্যতম সেরা তারকা রোমেলু লুকাকু চোট নিয়েই কাতারে পৌঁছেছিলেন। গত কয়েকবছর ধরে তাঁর পারফরম্যান্স পড়তির দিকে। তাঁর অনুপস্থিতি পূরণ করা রেড ডেভিলদের পক্ষে সম্ভব নয়। কেভিন ডি ব্রুইন এবং থিবো কুর্তোয়া তর্কাতীতভাবে দলের অন্যতম দুই বিশ্বমানের খেলোয়াড়।
কানাডার দলের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, যোগ্যতা অর্জন পর্বে ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ৮টি ম্যাচে জিতে এসেছে জাপান। হারিয়েছে মেক্সিকো এবং আমেরিকার মতো দুটি দলকে। দলের ২২ বছরের বায়ার্ন মিউনিখে খেলা ফুল-ব্যাক আলফানসো ডেভিস নিঃসন্দেহে কানাডার তারকা মুখ। স্ট্রাইকার জোনাথন ডেভিড, কাইলি ল্যারিনরা নিজেদের প্রতিভা দেখিয়েছেন কোয়ালিফায়ার পর্বেই। ১১টি গোল করে দলের টপ স্কোরার ল্যারিন। ডেভিডের গোলসংখ্যা ৯। শেষবার ১৯৮৯ সালে বেলজিয়াম-কানাডা মুখোমুখি হয়েছিল একটি প্রীতি ম্যাচে। ম্যাচটি বেলজিয়াম জেতে ২-০ ব্যবধানে। নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচে বেলজিয়াম হেরেছে নেদারল্যান্ডস এবং মিশরের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে নামছে কানাডা।