কলকাতা টুডে ব্যুরো: আর্জেন্টিনার উপর চাপ বাড়াতে মঙ্গলবারের ম্যাচটা জেতার প্রয়োজন ছিল পোল্যান্ড অথবা মেক্সিকোর। গ্রুপ সি-এর আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচে অঘটনের পর এমনিতেই চাপে লিওনেল মেসির দেশ। তবে লেওয়ানডস্কি বা গুলেরমো ওচোয়ার দল সেই লক্ষ্যে ব্যর্থ। ম্যাচে বহু চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারল না মেক্সিকো বা পোল্যান্ড কোনও দলই। বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডস্কি গোলমেশিন বলেই পরিচিত। তাঁর পেনাল্টি বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দুরন্ত সেভ করে মেক্সিকোর ‘হিরো’ গোলরক্ষক ওচোয়া। বিশ্বকাপের প্রথম গোলের খোঁজ অব্যাহত থাকল লেওয়ানডস্কির। ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্য ড্র দিয়ে। এই মুহূর্তে সব হিসেব উল্টে দিয়ে গ্রুপ সি-র শীর্ষে সৌদি আরব। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিল পোল্যান্ড এবং মেক্সিকো। এতেও অবশ্য চাপেই থাকল আর্জেন্টিনা। গ্রুপের সবশেষ স্থান মেসিদের। এই ম্যাচের ফলাফল আর্জেন্টিনার জন্য কতটা বিপদ বাড়ালো?
মেক্সিকো ও পোল্যান্ড উভয় দলের কোচ যেন ফুটবলারদের বলেই দিয়েছিলেন, কোনওমতেই হারা চলবে না। আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচের ফলাফল যে গ্রুপের বাকি দুই দলের উপর প্রভাব ফেলেছে তা ম্যাচেই স্পষ্ট। দুই দলেই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছে। ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হওয়ার পিছনে লেওয়ানডস্কি এবং ওচোয়া দু’জনেরই অবদান রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। প্রথমার্ধের ফলাফল ০-০ থাকার পর ম্যাচের ৫২ মিনিটে বক্সের মধ্যে লেওয়ানডস্কিকে ফেলে দেন কামিনস্কি। প্রথমে সাড়া না দিলেও পরে ‘ভার’-এর সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি। ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারত সেই সিদ্ধান্ত। কিন্তু পোলিশ স্ট্রাইকার কাজে লাগাতে পারলেন কই। ওচোয়া পেনাল্টি সেভ করায় মেক্সিকান সমর্থকরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপের ম্যাচে শেষবার সাক্ষাৎ হয়েছিল মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের। সেই ম্যাচে ওচোয়াদের পূর্বসূরিদের ৩-১ গোলে দুরমুশ করে পোল্যান্ড। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে ফের একবার সাক্ষাতে সেই ফলাফল ফেরাতে পারল না পোল্যান্ড।
৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সি-এর শীর্ষে সৌদি আরব। পরের ম্যাচগুলিতে বাকি তিনটি দল পোল্যান্ড, মেক্সিকো এবং আর্জেন্টিনার কাজ কঠিন হল। মেসিদের কাজটা একটু বেশিই কঠিন। পোল্যান্ড ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে পরের দুটি ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কোনও পথে মেসিদের গ্রুপ পর্ব উতরানোর পথ দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে।