ঝালদার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল দাঁড়াতেই মমতা বলেন, ‘এই আপনার এত বড় ভুঁড়ি কেন?’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে সুরেশ জবাব দেন, ‘দিদি, না আমার সুগার আছে, না আমার প্রেশার আছে।’ সুরেশের কিছু নেই শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু তো ডেফিনেটলি আছে। নিশ্চয়ই লিভারটা বড়! কিছু না থাকলে এত বড় মধ্যপ্রদেশ হয় কী করে!’ বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে সুরেশ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘দিদি আমি রোজ তিনঘণ্টা ব্যায়াম করি।’ ব্যস, ফের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘কী ব্যায়াম করেন? দেখান তো দেখি! এটা তো আপনি প্রাণায়ম করছেন! এটা তো কপালভাতি করছেন! দিনে কত বার করেন?’ সুরেশের জবাব, ‘দিদি, এক হাজার বার!’
তারপর ঠিক কী হল? এই জবাব শুনে তৎক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক হাজার বার? হতেই পারে না। কই এখন করে দেখান তো দেখি!’ সুরেশ অপ্রস্তুত হয়ে বলেন, ‘দিদি, এখন দেখাতে হবে?’ মমতা বলেন, ‘হ্যাঁ, স্টেজে এসে দেখান। এক হাজার বার এটা করতে পারলে আমি আপনাকে দশ হাজার টাকা দেব!’ তখন সুরেশ বলেন, ‘দিদি, এটা বিকেল পাঁচটার আগে করা যায় না!’ এই বলে রেহাই পান।
আরও পড়ুনঃ ’পিছিয়ে গেল কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ,’ জানালেন Firhad Hakim
সুরেশ বলেন, ‘আমার অভ্যেস রয়েছে তেলেভাজা খাওয়ার। রোজ সকালে পকোড়া খাই। ওটা না খেলে চলেই না। তাই ওজন এখন ১২৫ কেজি।’ তখন মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভায় তাঁর জন্য প্রেস্ক্রিপশনও বলে দেন—‘একমাস এখন সেদ্ধ ভাত খেতে হবে। সন্ধ্যে ৭টার মধ্যে খাওয়া শেষ করুন। না হলে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত কিছু খাবেন না।’