কলকাতা টুডে ব্যুরো: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির জট কিছুতেই কাটছে না। মামলার পর মামলা জমা পড়ছে কলকাতা হাইকোর্টে। দিনের পর দিন চলছে শুনানি, চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা। শুক্রবার কর্মশিক্ষা শারীরশিক্ষার মামলায় ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫০ জনের নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু আরও জানান, ২৮ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে ফের হলফনামা জমা দিতে হবে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। জামাল শেখ জানিয়েছেন, ‘এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না। যেসব আইনজীবীরা একের পর এক মামলা করে আমাদের নিয়োগে বিলম্ব করাচ্ছেন তাঁদের ধিক্কার জানাই। রাজ্য সরকার নিয়োগের সদিচ্ছা প্রকাশ করে প্যানেল গঠন করে দিলেও বারবার আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে নিয়োগ আটকে যাচ্ছে। এই কাজ নিন্দনীয়।’
আগেই বামেদের উপর ক্ষিপ্ত এসএলএসটি কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরি প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার চাকরিপ্রার্থী সোমা রায়ের মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তখনই বিচারপতির সামনে সুপার নিয়ামেরিক পোস্ট তৈরি করে নিয়োগের বিরোধিতা করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি, ফিরদৌস শামিম।
কী এই মামলা? ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরে ২০১৭ সালের জুন মাসে শুধু মাত্র কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সালের মার্চে ইন্টারভিউ অর্থাত্ পার্সোনালিটি টেস্ট হয়। চলতি বছরের অক্টোবরে শারীরিক শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে অতিরিক্ত পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। চাকরিপ্রার্থী সোমা রায়ের অভিযোগ, গত ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষয়ে যে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ প্রকাশ করে এসএসসি, তাতে তাঁর নাম নেই। তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত। পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে ৭২ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু ‘অ্যাকাডেমিক স্কোরে’ ২২-এর পরিবর্তে তাঁকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সোমা। মামলা এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিমের বক্তব্যের ভিত্তিতে ৬০ জনকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু।